অনিল আম্বানির রিলায়েন্সের বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে। আন্তর্জাতিক উদ্যোগে প্রথম হাতে খড়ি হল কোম্পানির। ভুটানের ড্রুক হোল্ডিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস (ডিএইচআই) এর সঙ্গে একটি বড় অংশীদারিত্ব করেছে কোম্পানি। রিলায়েন্স গ্রুপটি এদিন বলেছে যে এই অংশীদারিত্বের অধীনে দুই কোম্পানি যৌথভাবে সৌর ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: (LGBTQ+ প্রাইড প্যারেডস আর স্পনসর করবে না টয়োটা! কেন?)
রিলায়েন্স গ্রুপ এবং ডিএইচআই ৫০০ মেগাওয়াট সৌর এবং ৭৭০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে একসঙ্গে কাজ করবে। উভয়েরই এই ইউনিটে ৫০-৫০ শতাংশ শেয়ার থাকবে। তারা এটাও বলেছে যে এটি ভুটানের পুনর্নবীকরণযোগ্য এনার্জি খাতে সবচেয়ে বড় বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: (ভারতে iPhone 16 Pro তৈরি করছে Apple, খুলবে নতুন স্টোর! বিক্রি শুরু হবে এই মাসে)
সৌর ও জলবিদ্যুৎ প্রজেক্টে দুই বড় সংস্থার অংশীদারিত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল সূত্র জানিয়েছে, এই অংশীদারিত্বে, সৌর শক্তির ক্ষমতার জন্য ৫০ শতাংশ ইক্যুইটি অংশগ্রহণ থাকবে এবং হাইড্রো-ইলেকট্রিক ক্ষমতার জন্য ডিএইচআই থেকে ৫১ শতাংশ ইক্যুইটি আসবে। আর ডিএইচআই-এর সঙ্গে এই অংশীদারিত্বের প্রকৃতি কী হবে তা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: (Earning to increase: ২০৩১ সালের মধ্যে বার্ষিক ৩০ লক্ষ টাকার বেশি আয় করবে ১১.৩ কোটি পরিবার!)
এটিই হবে ভুটানের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প
ভুটানের গালেফু মাইন্ডফুলনেস সিটিতে ৫০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আগামী দুই বছরে দুই ধাপে নির্মিত হবে। কাজ শেষ হলে এটি হবে ভুটানের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প। রিলায়েন্স পাওয়ার এবং ডিএইচআই যৌথভাবে ৭৭০ মেগাওয়াট চামকারচু-১ হাইড্রো-ইলেকট্রিক প্রকল্পেরও কাজ করবে। গ্রুপটি বলেছে যে এটি ভুটানের ইনস্টল করা বিদ্যুতের ক্ষমতা ২,৪৫২ মেগাওয়াটে নিয়ে যাবে।
তবে, প্রকল্পটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির মাধ্যমে এগোবে নাকি ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন (ইপিসি) ভিত্তিক চুক্তি হবে, সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। বলা বাহুল্য, ভুটান সরকারের বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ শাখার সঙ্গে রিলায়েন্সের এই পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াবে এবং পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব এমন জ্বালানি সম্পদের বিকাশ ঘটাবে।
রিলায়েন্স পাওয়ারের মোট ইনস্টল ক্ষমতা ৫,৩৪০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশের সাসানে ৪,০০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা মেগা পাওয়ার প্রজেক্টও রয়েছে। রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার এনার্জি সেক্টরেও সক্রিয়। দিল্লিতে পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশনের পাশাপাশি মুম্বই মেট্রোর মতো প্রকল্পগুলিতেও কাজ করছে।