বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলিতে ভরতি প্রক্রিয়া শেষ। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে খুব শীঘ্রই বন্ধ হচ্ছে। অথচ ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ১০% পড়ুয়ার উপকারেও আসেনি বিহার ছাত্র ক্রেডিট কার্ড স্কিম (BSCCS) বলে খবর।
উচ্চশিক্ষার জন্য বর্তমান শিক্ষাবর্ষে এল লাখ দুঃস্থ পড়ুয়াকে BSCCS-এর সুবিধা দিতে চেয়েছিল রাজ্যের শিক্ষা দফতর। কিন্তু হাজারের বেশি শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তাঁদের কলেজ BSCCS তালিকাভুক্ত না হওয়ায় তাঁরা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারেননি। অথচ BSCCS পোর্টাল অনুসারে বিহারের ৫৮৬ টি কলেজ-সহ দেশের ৩০১০টি কলেজে এই প্রকল্পটি প্রযোজ্য।
বিকাশ কুমার রায় নামে সমস্তিপুরের এক ছাত্র জানান, BSCCS-এর জন্য তিনি তিন মাস আগে আবেদন করেছিলেন। এখনও অনুমোদন দেওযা হয়নি। এমনকী কোনও কলেজ এই প্রকল্পের আওতায় থাকলেও নির্দিষ্ট কিছু কোর্স ছাড়া এই প্রকল্পের সুবিধে পাওয়া যাচ্ছে না। চাকরির সুযোগ আছে, সেরকম জনপ্রিয় কোর্সের ক্ষেত্রে BSCCS প্রযোজ্য নয় বলে জানিয়েছেন পাটনার ছাত্র অবিনাশ পান্ডে।
গত বছরের পয়লা এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের পয়লা জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্য শিক্ষা দফতর অনলাইন ও অফলাইন মোডে ৫৮,৭৩৯ টি আবেদন পেয়েছে। ২৩৩.৬১ কোটি টাকার জন্য মাত্র ৮,৫৬৪ টি আবেদন সফলভাবে গৃহীত হয়েছে। গত বছরের তুলনায় সফল আবেদনের সংখ্যা ৮.৫৬% বৃদ্ধি পেয়েছে।
BSCCS নিয়ে যে সমস্যা হচ্ছে, তার জন্য করোনাভাইরাস পরিস্থিতিকে দায়ী করেছেন এই প্রকল্পের নোডাল অফিসার অরবিন্দ কুমার সিনহা। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে এবার বহু শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার অন্য রাজ্যে যাননি। ফলে আবেদনকারীর সংখ্যা কমেছে। লকডাউন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ থাকায় যাচাই পদ্ধতিও মন্থর হয়ে পড়েছে।’
উচ্চশিক্ষায় রাজ্যের গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিয়ো উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ২ অক্টোবর BSCCS প্রকল্প চালু হয়। দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যেসব দুঃস্থ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য পড়াশুনো করতে পারছেন না, তাঁদের এই প্রকল্পের মাধ্যমে চার লাখ টাকা খুব কম সুদে ঋণ দেওয়া হয়। যা তাঁরা মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে সহজে কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবেন।