অসমের উচ্চ মাধ্যমিকে রীতিমতো দাপট দেখাল মেয়েরা। বিজ্ঞান, কলা এবং বাণিজ্য - তিন শখাতেই ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পাশের হার বেশি।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও চলতি বছর পরীক্ষা শেষের ১০৩ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করেছে অসম উচ্চশিক্ষা সংসদ। বিজ্ঞান শাখায় প্রথম হয়েছে বরপেটার অনুন্দোরাম বড়ুয়া অ্যাক্যাডেমির ছাত্র অবিনাশ কলিতা। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৬ (৯৭.২ শতাংশ)। সার্বিকভাবে এবারের উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় হয়েছেন নওগাঁয়ের কনসেপ্ট জুনিয়র স্কুলের নয়িমা ফিরদৌস বরভুঁইঞা। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৮২। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন গুয়াহাটর সাই বিকাশ জুনিয়র কলেজের প্রীতপল বেজবড়ুয়া। তিনি পেয়েছেন ৪৮১।
অন্যদিকে, কলা বিভাগে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছেন দারাংয়ের পাথোরিঘাট স্কুলের পূবালি ডেকা এবং নওগাঁয়ের রামাজুন জুনিয়র কলেজের শ্রদ্ধা বর্গোহাইন। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮১। বাণিজ্য শাখায় প্রথম হয়েছেনল ডিব্রুগড়ের সল্টব্রুক অ্যাকাডেমির কৃষ্ণা মাহেশ্বরী। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৭১।
একনজরে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল :
১) কলা বিভাগের পাশের হার ৭৮.২৮ শতাংশ। গত বছর তা ছিল ৭৫.১৪ শতাংশ। মেয়েদের পাশের হার ৯৫.০২ শতাংশ। ৭৮.৬৩ শতাংশ ছেলে পাশ করেছেন। প্রথম দশে রয়েছেন ৪৪ জন।
মোট ১৬৮,৩৬৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম ডিভিশন পেয়েছেন ১৯,৮৫০ জন। দারাং জেলায় পাশের হারে সবচেয়ে বেশি ৮৯.০৭ শতাংশ। সবথেকে কম হাইল্যাকান্দিতে (৫৬.২৯ শতাংশ)।
২) গত বছর বাণিজ্য শাখায় পাশের হার ছিল ৮৭.৫৯ শতাংশ। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৮৮.১৮ শতাংশ। মেয়ে এবং ছেলেদের পাশের হার যথাক্রমে ৯৩.৮৫ শতাংশ এবং ৮৯.৫৫ শতাংশ। প্রথম দশে রয়েছেন ২৩ জন।
মোট পরীক্ষা দিয়েছিলেন ১৭,৭১৩ জন। প্রথম ডিভিশন পেয়েছেন ৩,৮৭০ জন। ছিরাঙ্গ, মাজুলি এবং পশ্চিম কার্বি জেলায় ১০০ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করেছেন। সবথেকে কম হাইল্যাকান্দিতে (৬৯.০৮ শতাংশ)।
৩) গত বছরের তুলনায় বিজ্ঞান শাখায় পাশের হার বেশ খানিকটা বেড়েছে। এবার পাশের হার ৮৮.০৬ শতাংশ। গত বছর তা ছিল ৮৬.৫৯ শতাংশ। ছেলে এবং মেয়ে - উভয়েরই পাশের হার ৯০ শতাংশের বেশি। তবে এগিয়ে মেয়েরা। তাঁদের পাশের হার ৯৪.৩৩ শতাংশ। ছেলেদের পাশের হার ৯১.০৯ শতাংশ। প্রথম দশে রয়েছেন ২৫ জন।
মোট ৩৯,৫৭৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম ডিভিশন পেয়েছে ১৬,৯২৮ জন। সবথেকে বেশি পাশের হার শিবসাগরে (৯৫.৯৭ শতাংশ)। সর্বনিম্ন কোকরাঝাড়ে (৭০.০৪ শতাংশ)।
৪) ভোকেশনাল শাখায় মোট ৮৪০ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। পাশের হার ৯১.৫৫ শতাংশ। প্রথম ডিভিশন পেয়েছেন ২২২ জন।