দীর্ঘ কয়েক মাস লকডাউনের ফলে বন্ধ থাকার পরে সোমবার থেকে দেশজুড়ে আংশিক ভাবে খুলে দেওয়া হল কিছু স্কুল। পড়ুয়া শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের মেনে চলতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য নির্দেশিকা।
করোনা প্রকোপের কারণে মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর আনলক ৪ নির্দেশিকায় বলা হয় ২১ সেপ্টেম্বর থেকে কন্টেনমেন্ট জোনের বাইরের স্কুলগুলি স্বেচ্ছানুসারে নবম দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ৮ সেপ্টেম্বর স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (SOP) জারি করে জানায় যে কেবল ৫০% শিক্ষক / কর্মীদের কর্মীদের ক্যাম্পাসে আসার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক নয়।
সেই নির্দেশ মেনে এ দিন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অসম, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয়ে সুরক্ষা প্রোটোকল এবং সামাজিক দূরত্বের নিয়মাবলী যথাযথ অনুসরণ করে স্কুল খোলা হয়েছে। ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশ এবং মণিপুরে আপাতত স্কুল বন্ধ থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
অসমের মধ্যশিক্ষা বিভাগের অধিকর্তা ফণীন্দ্র জিদং বলেছেন, ১৫ দিন পরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। নিয়মিত ক্লাস চালুর জন্য নির্দিষ্ট SOP-গুলি স্কুলের সমস্ত বিভাগে ব্যাখ্যা করা হয়। তবে বেসরকারি স্কুলগুলি কখন তাদের ক্লাস পুনরায় শুরু করতে চায়, সেই সিদ্ধান্ত তাদেরই নিতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
অসমের জন্য নির্দিষ্ট SOP অনুসারে, সোমবার, বুধবার ও শুক্রবার নবম এবং দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্ররা ক্লাসে হাজিরা দেবে। মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার এবং শনিবার দশম ও একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস হবে।
নাগাল্যান্ডের মুখ্য সচিব, তেমজেন টয় বলেন, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তাদের বাবা-মা / অভিভাবকের লিখিত সম্মতি সাপেক্ষে শুধুমাত্র শিক্ষকদের পরামর্শ নেওয়ার জন্য স্ব-ইচ্ছায় কনটেনমেন্ট জোনের বাইরের অঞ্চলে থাকা স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মেঘালয় সরকার ঘোষণা করেছে, ছাত্ররা শিক্ষা সংক্রান্ত নিজেদের সমস্যা দূর করতে স্কুলশিক্ষকদের কাছে যেতে পারবে। তবে কোনও রাজ্যেই ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিয়মিত ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে না।
উত্তর ভারতের পঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড় ও জম্মু ও কাশ্মীরের স্কুলগুলিও আংশিক ভাবে পুনরায় চালু হয়েছে।