অসমের যেসব বেসরকারি স্কুলের বার্ষিক বেতন কাঠামো ২৭,০০০ থেকে ৩৭০০০ টাকার মধ্যে, সেগুলি কোনও আর্থিক কাটছাঁটের প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে ২০২১ সালের এপ্রিলের নতুন শিক্ষাবর্ষে ‘ফি কম’ করার নিয়ম কার্যকর হলে অভিজাত স্কুলগুলি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জানিয়েছে রাজ্য মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।
গত ১৯ অক্টোবর এক নোটিশে রাজ্য মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, যেসব বেসরকারি স্কুলের প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ফি বছরে ২৭,০০০ টাকা এবং ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বছরে সর্বাধিক ৩২,০০০ টাকা, তাদের ফি কাটছাঁটের প্রয়োজন নেই। তবে এই স্কুলগুলিকে অসম সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ফি নিয়ন্ত্রক কমিটির অব্যাহতি শংসাপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
অন্যদিকে, নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি অর্থ নিলে স্কুলগুলিকে অসম নন-গভর্নমেন্টাল এডুকেশনাল ইনিস্টিটিউশন (রেগুলেশন অফ ফিজ) আইন, ২০১৩-এর নিয়ম অনুসারে ফি নির্ধারণ ও অনুমোদনের প্রস্তাব জমা দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে ওই নোটিশে।
বিষয়টি নিয়ে অল অসম প্রাইভেট স্কুলস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সচিব শৈলেশ সরমাহ বলেন, ‘তুলনামূলকভাবে খুব কম স্কুলই সরকার নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করেছে। অসমে প্রায় ১১,০০০ বেসরকারি স্কুল আছে। সাধারণত, স্কুলগুলি শিক্ষার্থীদের আর্থিক সুবিধার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন কাঠামো স্থির করা হয়। যদি কোনও স্কুল তার শিক্ষকদের একটি নির্দিষ্ট মানের বেতন প্রদান করে থাকে, তবে এই সীমাটি বাড়ানো যেতে পারে।’
কোভিদের কারণে বহু স্বল্পমূল্যের বেসরকারি স্কুলের আধিকারিকরা ইতিমধ্যে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা মনে করেছিলেন যে এই ফি নির্ধারণের ব্যবস্থা সরকার যদি পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত স্থগিত করে, তবে খুব ভাল হত। ফি নিয়ন্ত্রক কমিটির চেয়ারম্যান আর সি জৈন বলেন, ‘বেশিরভাগ বেসরকারি স্কুল সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বেতনকাঠামো মেনে ফি নেয়, তাই এই রেগুলেশনের প্রভাব তাদের উপর পড়বে না।’