স্কুলপড়ুয়া, শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের র্যান্ডাম টেস্টিং-এর সিদ্ধান্ত নিল বিহারের শিক্ষা দফতর। সম্প্রতি মুঙ্গেরে একটি স্কুলে টেস্ট ক্যাম্পে ২৫ জন শিক্ষার্থীর কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়ে। গয়ার এক স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরও কোভিড টেস্টের পর জানা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত। এর পরই রাজ্য শিক্ষা দফতর রাজ্যের স্কুল গুলিতে র্যান্ডাম টেস্টিং এর সিদ্ধান্ত নেয়।
বৃহস্পতিবার মুঙ্গের জেলার আসার গঞ্জ ব্লকের লালবাহাদুর শাস্ত্রী কিষান হাইস্কুলের শিক্ষক ও একজন পিওন-সহ ১৫ জন পড়ুয়ার করোনা টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পড়ুয়ারা সকলেই নবম শ্রেণির। খবর প্রকাশ্যে আসতেই কন্টাক্ট ট্রেসিং এর খোঁজ নেওয়া শুরু হয়। জেলা প্রশাসন স্কুল বন্ধের নির্দেশ দেয়।
শিক্ষা দফতরের রিসার্চ ও ট্রেনিং ডিরেক্টর বিনো দানান্দ ঝা বলেন, স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ভাবে করোনা মোকাবিলার কাজ করছে শিক্ষা দফতর। তিনি বলেন, স্কুলগুলিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের করোনা টেস্ট করা হচ্ছে। যেখানেই করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ছে সেই স্কুল তৎক্ষণাৎ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই স্কুলগুলি চালু হোক। তবে করোনা করোনা প্রটোকল না মানলে কোনও ছাড়পত্র দেওয়া হবে না।
শিক্ষা দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর অমিত কুমার বলেন, পুনরায় চালু হওয়া ৮০০০ এর বেশি স্কুলের মধ্যে এখনও পর্যন্ত একটি সেকেন্ডারি স্কুলে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। তবু বিষয়টি বেশ গুরুত্ব সহকারে মোকাবিলা করছে সরকার।
করোনা সংক্রমণের জেরে গত বছরের মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। নতুন বছরের ৪ জানুয়ারি থেকে সেগুলি আবার খুলে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার থেকে বিহার স্কুল এক্সামিনেশন বোর্ডের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহে রাজ্যজুড়ে লক্ষাধিক শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেবে।
১৮ জানুয়ারি থেকে বড় চ্যালেঞ্জ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। সেকেন্ডারি ক্লাসের পরে, ১৮ জানুয়ারি থেকে অন্যান্য স্কুল গুলি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সব ক্ষেত্রেই করোনা নির্দেশিকা মানা হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে নজরদারি চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। সেকেন্ডারি স্কুলগুলিতে সারপ্রাইজ ইন্সপেকশন করছেন সরকারি আধিকারিকরা।