অনলাইন বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য বড় পদক্ষেপ বাজেটে। ভারতে এবার ডেডিকেটেড ই-কমার্স রপ্তানি হাব স্থাপন করা হবে। কেন্দ্রীয় বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এমনটাই ঘোষণা করেছেন।
পেশ করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাজেট, মোদী সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট। লাভ-ক্ষতির খাতা খুলে আমজনতার প্রত্যাশার চোখ সরকারের দিকে। তাই কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করার সময়, দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আরও এক উন্নয়নশীল প্ল্যানের ঘোষণা করেছেন। এই এক্সপোর্ট হাবের মাধ্যমে সরকারের লক্ষ্য ক্রমবর্ধমান ই-কমার্স খাতকে সমর্থন করার জন্য একটি পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রক এবং লজিস্টিক পরিবেশ তৈরি করা। এর দরুণ ভারতের অনলাইন ট্রেডে বিপ্লবের জোয়ার আসতে পারে।
আরও পড়ুন: (Pollution control board: প্লাস্টিক জমিয়ে বিক্রির ব্যবস্থা করতে অ্যাপ আনার পরিকল্পনা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের)
জানা গিয়েছে, ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) ইতিমধ্যেই ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছেন। সেখানে এমন পদক্ষেপগুলি বাস্তবায়নের জন্য আলোচনা করা হচ্ছে, যা এই ই- কমার্স রপ্তানি হাব গঠনে বিশেষ সহায়তা করবে।
এই হাব ভারতকে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সাহায্য করবে
এই হাবগুলি রপ্তানির ক্ষেত্রে বড় সুবিধা পাবে ভারত। যেমন ছাড়পত্র, পণ্যগুলো গুদামে সংরক্ষণ সুবিধা, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স, রিটার্ন প্রক্রিয়াকরণ এবং পণ্য পরিচালনা সহ বিভিন্ন পরিষেবা সরবরাহ করা সহজ হবে। শিল্প বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে এই হাবগুলি বন্ডেড জোন হিসাবে কাজ করবে, ই-কমার্স পণ্যের রপ্তানি ও আমদানিকে সহজ করবে এবং উল্লেখযোগ্যভাবে পুনরায় আমদানি হ্রাস করবে। আর বেসরকারী খাত এই সুবিধাগুলির বিকাশ এবং পরিচালনার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে বলেও আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও এই বড় পদক্ষেপটি ভারতকে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সাহায্য করবে। দেশের অর্থনৈতিক দিক আরও মজবুত করবে।
আরও পড়ুন: (Pooja Khedkar Controversy: 'সিভিল সার্ভিসে প্রতিবন্ধী সংরক্ষণ কেন!' বিস্ফোরক মন্তব্য আইএএস স্মিতার)
ভারতের ই-কমার্স রপ্তানি ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছোবে
উল্লেখ্য, চিনের ৩৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তুলনায় ভারতের ই-কমার্স রপ্তানি বর্তমানে ২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যদিও, এর পর আরও প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। আর অর্থমন্ত্রীর এই নতুন পদক্ষেপ, রপ্তানি হাবের কাজ ভালোভাবে চলতে থাকলে, অনুমান অনুযায়ী ভারতের ই-কমার্স রপ্তানি ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছোতে পারে। যদিও ব্যাঙ্কিং সমস্যাগুলির মতো চ্যালেঞ্জগুলি রয়েই যাচ্ছে। তবুও সরকারের এই উদ্যোগ উন্নয়নের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে দেবে দেশকে।
আরও পড়ুন: (IIT-Madras: আইআইটির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন কৃতি ছাত্র)
প্রসঙ্গত, এদিনের বাজেট সেশনে একের পর এক জনমুখী পরিকল্পনার মাঝেই এমএসএমই সেক্টরের জন্য কোষাগার খুলেছেন অর্থমন্ত্রী। এখন থেকে এর দরুণ মুদ্রা যোজনার অধীনে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে। যা আগে ১০ লক্ষ টাকায় সীমাবদ্ধ ছিল। এছাড়াও, এদিন কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণা করার সময়, অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন যে দেশে স্বর্ণ এবং মূল্যবান ধাতুর গহনার অভ্যন্তরীণ মূল্য সংযোজন বাড়ানোর জন্য, সোনার রৌপ্য শুল্ক কমিয়ে ৬ শতাংশ এবং প্লাটিনামের উপর ৬.৪ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হচ্ছে।