শেয়ার বাজারে আসার আগে যে করে হোক লাভজনক হতেই হবে। আর সেই কারণে বিপুল কর্মী ছাঁটাই। সম্প্রতি ২,৫০০ কর্মী ছাঁটাই করার পরিকল্পনার ঘোষণা করেছে edtech জায়ান্ট BYJU's। সংস্থার মোট কর্মীর এটি প্রায় ৫%। আর তারপরেই ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তের জন্য 'ক্ষমা প্রার্থনা' করলেই সংস্থার সিইও বাইজু রবীন্দ্রন। কর্মীদের উদ্দেশে পাঠানো হল মেইল।
সংস্থার অভ্যন্তরীণ মেইলে, বাইজু রবীন্দ্রন বরখাস্তের প্রক্রিয়াধীন কর্মীদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের যুক্তিও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, এটি করা হয়েছে 'বৃহত্তর সংস্থার অবস্থা রক্ষা করার জন্য এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থায় আরোপিত সীমাবদ্ধতার কারণে।' আরও পড়ুন: কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপনই সার, এখনও ৪,০০০ কোটি টাকার লোকসানে ডুবে Byju's
তিনি লিখেছেন, ২০২২-এ অনেক প্রতিকূল অর্থনৈতিক কারণে ব্যবসায়িক ছবিটা বদলে গিয়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি সংস্থাগুলি স্থায়িত্ব এবং মূলধনের বৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করতে বাধ্য হয়েছে। BYJU’s-ও তার ব্যতিক্রম নয়। গত চার বছরে তাত্পর্যপূর্ণভাবে সংস্থার প্রসার হয়েছেয এখন আমাদের দীর্ঘমেয়াদী বৃদ্ধির বিষয়ে ভাবার সময় এসেছে।
আর সেই কারণেই সংস্থাকে 'লাভজনক' করে তোলার পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাইজু রবীন্দ্রন।
তিনি লিখেছেন, চলতি অর্থবর্ষেই বাইজুস-কে লাভজনক সংস্থায় পরিণত করার পরিকল্পনা তাঁদের। আর সেই কারণেই গত কয়েক বছরে সংস্থার মধ্যে তৈরি হওয়া কিছু অদক্ষতা, অপ্রয়োজনীয়তা দূর করার সময় এসেছে। সেই জন্য সংস্থাকে কিছু যুক্তিযত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এরপরেই তিনি জানান, এই লাভজনক হয়ে ওঠার জন্য সংস্থাকে বড়সড় মূল্য দিতে হবে। আর তার জন্য ২,৫০০ কর্মীকে ছেড়ে যেতে হবে। এঁরা প্রত্যেকেই সংস্থার বিভিন্ন অংশে কাজ করেন। বাইজু বলেন, আমাদের সংস্থায় সর্বদাই কর্মীদের ভাল দেখভাল করার ইতিহাস রয়েছে। আর সেই কারণে এখন তাঁদের ছেড়ে যাওয়াটা অত্যন্ত হৃদয় বিদারক একটি সিদ্ধান্ত হতে চলেছে। আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত, বিশ্বের শীর্ষ EdTech কোম্পানি তৈরি করেছেন যাঁরা, তাঁদের চাকরির বাজারের সব সময় চাহিদা থাকবে। অন্যরা যেটা শুধু 'ছাঁটাই' হিসাবে দেখছেন, আমি সেটা কেবলই কিছু সময়ের জন্য আলাদা হওয়া হিসাবে দেখছি। আমাদের কোম্পানিকে লাভজনক পথে পৌঁছে দিয়েই আবার আপনাদের ফিরিয়ে আনাটাই এখন আমার ১ নম্বর অগ্রাধিকার হবে। আমি ইতিমধ্যেই আমাদের এইচআরদের নির্দেশ দিয়েছি, যাতে তাঁরা সমস্ত নতুন প্রাসঙ্গিক চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া জারি রাখতে পারেন।