প্রধান শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকায় অপষ্টতা ও অনিয়মের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন ১৬ জন প্রার্থী। সেই মামলায় চার সপ্তাহের মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (এসএসসি) হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
কৃষ্ণকেশব দণ্ডী-সহ মামলাকারীরা মূলত তিনটি দাবি করেছেন। প্রথমত, বিশেষ উদ্দেশ্যে মেধাতালিকায় লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ও অ্যাকাডেমিক স্কোর প্রকাশ করা হয়নি। দ্বিতীয়ত, পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ১২ (৮) নিয়ম অনুযায়ী অঞ্চল ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি। অঞ্চল ভিত্তিতে কাউন্সেলিংও হয়নি। তার জেরে যে অঞ্চলগুলিতে অধিক সংখ্যক প্রার্থী ডাক পেয়েছেন, সেখানে প্রত্যাখ্যান (refusal) বা যোগ না দেওয়া (non joining) প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। অনেক জায়গায় আবার অনেক প্রার্থী ওয়েটিং লিস্ট থাকা সত্ত্বেও পদ ফাঁকা পড়ে আছে। তৃতীয়ত, অনেক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদে কেউ না থাকলেও কোনও অজানা কারণে মেধাতালিকায় থাকা অন্য প্রার্থীদের ডাকছে না এসএসসি। বরং টিচার-ইন-চার্জ কাজ চালানো হচ্ছে। যা শিক্ষা ব্যবস্থার পরিপন্থী বলে দাবি আবেদনকারীদের।
তাঁদের বক্তব্য, বিষয়টি নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কার্যালয়ে লিখিতভাবে জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি। অথচ শূন্যপদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাই বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। সেই মামলায় এসএসসিকে চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক।