বেসরকারি স্কুলের বকেয়া ফি নিয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বড়সড় ধাক্কা খেলেন অভিভাবকরা।
করোনা ও লকডাউনের জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় কাজ হারিয়েছেন অনেকে। এই অবস্থাতেই ফি বাড়ায় বহু স্কুল। বিপাকে পড়েন অভিভাবকরা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হুঁশিয়ারি, আর্জি ছাড়া আর কোনও পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্য সরকার৷ তাই ভুক্তভোগী অভিভাবকদের শেষ ভরসা ছিল আদালত৷ এবার সেই আদালতের রায়ে মাথায় হাত তাঁদের।
বেসরকারি স্কুলে বর্ধিত স্কুল ফি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন অভিভাবকদের একটি সংগঠন৷ সোমবার ছিল সেই মামলার শুনানি৷ সেখানে হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়, বকেয়া স্কুল ফি আগামী ১৫ অগস্টের মধ্যেই দিতে হবে৷ লকডাউন পর্যায়ে স্কুল ফি দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে মামলায় এই অভিভাবকদের এমনই নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷
আপাতত ৪৫টি স্কুলে এই নিয়ম কার্যকর করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে৷ যদিও এর আগে মামলার শুনানিতে অভিভাবকদের ৮০ শতাংশ স্কুল ফি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট৷ এরপর আজ জানিয়ে দেওয়া হল, ১৫ অগস্টের মধ্যেই সমস্ত বকেয়া মেটাতে হবে৷
বিচারক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে অভিভাবদের তরফে স্কুল ফি মকুবের আর্জি জানানো হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবক পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর আদালত জানিয়েছে, ল্যাব, লাইব্রেরি, কম্পিউটার ফি না দিলেও দিতে হবে স্কুল ফি৷ স্বভাবতই আদালতের এই নির্দেশে করোনা আবহে বেশ খানিকটা চাপে পড়ে গেলেন অভিভাবকরা৷