রাজ্যের জারি করা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২০১৪ সালের মামলাকারী পরীক্ষার্থীদের নথিও যাচাইয়ের জন্য নিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। শুক্রবার এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ২০১৪ প্রাথমিক টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ভুলের কারণে যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, এবং পরবর্তীতে হাইকোর্টের নির্দেশে তাদের টেট উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়, সেই উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সমস্ত নথি অনলাইনে যাচাইয়ের সুযোগ দিতে হবে। যদি অনলাইনে অসুবিধা হয় সে ক্ষেত্রে ওই মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীরা সরাসরি পর্ষদে নথি জমা করতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি।
চলতি মাসে প্রকাশিত রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পায়েল বাগ, রিন্টি বসু-সহ বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী।
২৩ নভেম্বর প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ। সদ্য প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির একাধিক বিষয় একাধিক ত্রুটি নিয়ে অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হয়। কাদের নিয়োগ করা হবে সদ্য প্রকাশিত এই বিজ্ঞপ্তিতে তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি। তাই নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পর্ষদকে নিয়োগের কথা স্পষ্ট করে জানাতে হবে।
যেহেতু প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে, তার পরেও কীভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারে রাজ্য সরকার, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে মামলায়। পাশাপাশি, অন্যান্য যোগ্য প্রার্থীরাও যাতে বঞ্চিত না হয়, সে বিষয়েও রাজ্যকে সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন মামলাকারীরা।
অন্যদিকে, শুক্রবার দুপুর ১ টা থেকে প্রাথমিক পর্ষদ অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের সামিল হন হাইকোর্টের নির্দেশের পর টেট উত্তীর্ণ অতনু রায়, পাপ্পু সাহা, শ্রাবস্তি মজুমদার সহ ১৩০ জন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের দাবি, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো আগে উত্তীর্ণ এই ১৩০ জনকে নিয়োগ করতে হবে। পরে নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে পর্ষদ।
তাঁরা জানান, মামলা করায় তাঁরা রাজ্যের রোষানলের মুখে। তাই নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরা সুযোগ পেলেও সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদেরকে বহিষ্কৃত করবে। তাই আদালতের কাছে আর্জি যাতে এই ১৩০ জনের চাকরি সুনিশ্চিত করে আদালত। কারণ শর্ত অনুযায়ী এই ১৩০ জন প্রশিক্ষিত এবং টেটে উত্তীর্ণ। তাই আগে তাঁদের নিয়োগ করা উচিত।