আচমকা লকডাউনের ফলে সিবিএসই-র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির কিছু পরীক্ষা শেষ করা যায়নি। ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল করছে কেন্দ্র। তাই এখন সিবিএসই এটি ভাবছে কী ভাবে বাকি পরীক্ষাগুলি নেওয়া যায়। চ্যালেঞ্জ হচ্ছে লাখ লাখ পড়ুয়াদের জন্য সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে পরীক্ষা সংগঠিত করা।
জানা যাচ্ছে পরিক্ষার্থী ও যারা শিক্ষকরা থাকবেন, সবাইকে বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক পরতে হবে। একটি ঘরে ১২জনের বেশি বসবে না, সবাই স্যানিটাইজার নিয়ে আসতে পারবে। পড়ুয়াদের অভিভাবকদের এটা খেয়ার রাখতে হবে যে এক্সাম সেন্টারে আসার পথে যেন সব বাধানিষেধ মানা হয়।
মানবসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল এর আগে জানিয়েছেন যে ক্লাস ১২-র পরীক্ষা জুলাই ১-১৫-র মধ্যে হবে। দাঙ্গার জন্য উত্তরপূর্ব দিল্লিতে ক্লাস ১০-এর কিছু পরীক্ষা করা হয়নি। সেগুলিও দ্রুত সেরে ফেলতে চাইছে সিবিএসই।
সিবিএসই কর্তাদের মতে পুরো পরীক্ষা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা কঠিন হলেও তারা আত্মবিশ্বাসী ঠিকঠাক ভাবে করা যাবে সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করে। মার্চ মাসে যেরকম সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল, সেটির থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে এবার নিরাপত্তা বলয় তারা সৃষ্টি করতে পারবেন বলে আত্মবিশ্বাসী।
সিবিএসই-র হিসাব অনুযায়ী, প্রতি দিন ৪ লক্ষের বেশি পরিক্ষার্থী আসবে না। মার্চ মাসে এমন দিনও গিয়েছে যেখানে ১৯.৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী এসেছে।
প্রতি ঘরে ১২ জনের বেশি বসানো হবে না। সবচেয়ে বেশি ক্যান্ডিডেট আছে বিজনেস স্টাডিতে দ্বাদশ শ্রেণিতে।প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ পড়ুয়া ওই পরীক্ষা দেবেন। হিন্দি পরীক্ষায় বসবে তিন লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী, ভূগোল পরীক্ষায় আসবেন এক লাখ পড়ুয়া। হোম সায়েন্স ও স্যোশিওলজিতে ৫০ হাজারের কিছু বেশি পরীক্ষার্থী আছেন।
যে গাড়িতে করে পরীক্ষার্থীরা আসবেন সেটাতেও যাতে সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং মানা হয়, সেটা দেখতে হবে স্কুল ও অভিভাবকদের।