একজন, দু'জন নয়, একসঙ্গে প্রায় ২০০০ অধ্যাপককে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিল চেন্নাইয়ের আন্না বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানিয়েছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা বেশ কিছু ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ওই অধ্যাপকেরা কর্মরত। তাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ সামনে এসেছে। কর্মজীবন সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া থেকে একাধিক কলেজে অধ্যাপনা করে উপার্জনের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। আর এই সমস্ত অভিযোগের বিরুদ্ধেই এই ব্যবস্থা নিতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, কৃতকর্মের ভিত্তিতে এক থেকে দশ বছর পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে ২০০০-এরও বেশি অধ্যাপককে।
আরও পড়ুন - ইউজিসি নেটের ১৭টি বিষয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে গেল! বাকিগুলি কবে হবে? জানাল এনটিএ
৩০ কলেজের অনুমোদন বাতিল
২০০০-এরও বেশি অধ্যাপককে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পাশাপাশি কলেজগুলির বিরুদ্ধেও বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে আন্না বিশ্ববিদ্যালয়। কলেজগুলির অনুমোদন বাতিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর অনুযায়ী, আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে যে অধ্যাপকেরা এই ধরনের দুষ্কর্মে লিপ্ত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন - ফেব্রুয়ারিতে স্যালারি বৃদ্ধির লেটার দিতে পারে ইনফোসিস, কবে বেতন বাড়বে কর্মীদের?
কী বলছে এআইসিটিই-র নিয়ম?
এআইসিটিই বা অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিকাল এডুকেশনের নিয়ম হল প্রতিটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ১:২০ অনুপাতে অধ্যাপক নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু আদতে সেই নিয়ম মানা হয়নি। কলেজের খরচ কমানোর জন্য কম সংখ্যায় অধ্যাপক নিয়োগ করা হয়েছে। শূন্যপদগুলি ভুয়ো তথ্য পেশ করে ভরাট হিসেব দেখানো হয়েছে। সম্প্রতি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আরাপ্পোর ইয়াক্কামের তদন্তে ফাঁস হয় এই গোটা দুর্নীতি। দেখা যায়, ৩৫৩ জন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন কলেজে কর্মরত। তদন্তের পর জানা যায়, তাদের আধার কার্ডও ভুয়ো। এমনভাবে সেগুলি তৈরি করা যাতে একাধিক কলেজে তাঁরা কাজ করতে পারেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্তদন্তেও উঠে আসে এই একই তথ্য। যার ভিত্তিতে এই ব্যবস্থা নিতে চলেছে চেন্নাইয়ের ওই ইউনিভার্সিটি।