সফল পরীক্ষার্থীদের নিয়ে বিজ্ঞাপন করা যাবে না আর। ইউপিএসসি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে সম্প্রতি একটি বিতর্ক দানা বাঁধে। তার ভিত্তিতেই এবার এমন নির্দেশ দিতে চলেছে সেন্ট্রাল কনজিউমার প্রোটেকশন অথরিটি (সিসিপিএ)। লাইভ মিন্ট সূত্রের খবর, এই নয়া নিয়মের জেরে কোচিং সেন্টারগুলি আর বিজ্ঞাপন দিতে পারবে না। একইসঙ্গে সফল প্রার্থীরাও আর বিজ্ঞাপন থেকে দেদার আয় করতে পারবে না। সারা বছর ধরে বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষাগুলির সেন্টার থেকে অ্যাড দিয়ে আয়ের পথ বন্ধ হচ্ছে।
সিসিপিএ-এর ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, সফল প্রার্থীদের জয়েনিং লেটার দেওয়া হয় সাক্ষাৎকারের পর। এই লেটার পাওয়ার পর কোনও সংস্থার সঙ্গে কোনওরকম চুক্তি রাখতে পারবে না প্রার্থী। সিসিপি-এর তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে ডিপাটমেন্ট আব পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং (ডিওপিটি)-কে।
মূলত নিশানা করা হয়েছে কোচিং সেন্টারগুলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনকে। সেন্টারগুলির বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে সফল প্রার্থীদের মুখ ব্যবহার করা হয়। তার বদলে মোটা অঙ্কের টাকা পায় ওই প্রার্থীরা। সম্প্রতি এই কারণে খান স্টাডি গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের নিরিখে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি আরও কিছু কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছিল সিসিপিএ। এবার বিজ্ঞাপনসংক্রান্ত আইনকানুন নিয়ে কড়া হল সিসিপিএ।
প্রসঙ্গত, গোটা দেশে কোচিং সেন্টার ব্যবসা থেকে আয় নেহাত কম নয়। গত কিছু বছর ধরেই প্রায় ৫৮,০৮৮ কোটি টাকার ব্যবসা করছে দেশের কোচিং শিল্প। এর মধ্যে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ব্যবসার অঙ্ক তিন হাজার কোটি টাকা। এই গোটা ব্যবসাটাতেই বড় ভূমিকা রয়েছে বিজ্ঞাপনগুলির। সিসিপিএ-এর ওই নির্দেশে কনজিউমার প্রোটেকশন অ্যাক্ট, ২০১৯-এর ২৮(২) ধারার কথা বলা হয়েছে। ওই ধারা অনুযায়ী, কোনও সরকারি আধিকারিক পদে থাকাকালীন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিজ্ঞাপনী প্রচার করতে পারবে না। বিজ্ঞাপনগুলিতে ক্রেতাদের থেকে সফল প্রার্থীদের কোর্সের খুঁটিনাটি গোপন করা হয়। ক্রেতাদের সঙ্গে যা একরকম প্রতারণা বলেই জানাচ্ছে সিসিপিএ।