প্রকাশিত হল স্নাতক স্তরের কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রাস টেস্টের (CUET UG) রেজাল্ট। প্রার্থীরা CUET-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট cuet.samarth.ac এবং ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.nta.ac.in থেকে নিজেদের রেজাল্ট দেখতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমার জানিয়েছেন, সর্বাধিক ইংরেজিতে ৫,৬৮৫ জন ১০০ পার্সেন্টাইল পেয়েছেন। হিন্দিতে ১০০ পার্সেন্টাইল প্রাপকের সংখ্যা ১০২ জন। বাংলায় ১৮ জন পেয়েছেন ১০০ পার্সেন্টাইল।
CUET-র সংখ্যাতত্ত্ব
ইউজিসি) চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, এবার CUET পরীক্ষার সব টেস্ট পেপারের জন্য ৫০ লাখের বেশি পড়ুয়ারা নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ৩৬ লাখ পড়ুয়া। সবথেকে বেশি সংখ্যক ইংরেজি মাধ্যমের পড়ুয়া পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ৩৯,৯৩,৯৭০ জন নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২৮,৭৫,৫১২।হিন্দি মাধ্যমের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭,৩৫,৪০৩। বাংলা মাধ্যমের ১৩,৫৪৮ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। অসমিয়া মাধ্যমের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩,৫৫৭। তাছাড়াও গুজরাটি, কন্নড়, মালায়ালম, মারাঠি, ওড়িযা, পঞ্জাবি, তামিল, তেলুগু এবং উর্দু মাধ্যমের পড়ুয়ারা।
বিষয়টি নিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছেন, 'পরিকল্পনা মতো ১৫ জুলাই CUET-UG পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করতে পারায় আমরা সন্তোষপ্রকাশ করছি। ২১ মে থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত ৩৪ দিন ধরে ন'দফায় পরীক্ষার আয়োজন করেছিল এনটিএ। ১৪.৯৯ লাখ পড়ুয়া পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ২,৩০৫টি প্রশ্নপত্র এবং ১,৪৮,৫২০টি প্রশ্নে তৈরির প্রক্রিয়ায় ২,২০০ জন বিশেষজ্ঞ এবং ৮০০ জন অনুবাদক ছিলেন।'
কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেছেন, ‘অ্যাকাউন্টেন্সি, বায়োলজি, বিজনেস স্টাডিজ, ইকোনমিকস, ইংরেজি, ইতিহাস এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মতো বিষয়ে ১,০০০ জনের বেশি পড়ুযা ১০০ পার্সেন্টাইল পেয়েছেন। এবার ২৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়কে নর্ম্যালাইজড স্কোর প্রদান করবে এনটিএ। সেই নর্ম্যালাইজড স্কোরের ভিত্তিতে স্নাতক স্তরে ভরতির জন্য মেধাতালিকা তৈরি করতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি।’ উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার এবং সরকার-পোষিত কলেজে CUET-র মাধ্যমে ভরতি হয় না। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে CUET-র মাধ্যমে ভরতির প্রক্রিয়া চলে। পশ্চিমবঙ্গের কলেজগুলিতে (স্নাতক স্তরে) ভরতির জন্য অনলাইনে আবেদন করা যাচ্ছে। আজই (১৫ জুলাই) আবেদনের শেষদিন।