কোভিড সংক্রমণ রুখতে বাতিল করা হয়েছে সিবিএসই দশম শ্রেণির পরীক্ষা৷ বাতিল করা হয় বিভিন্ন রাজ্য নানা ক্লাসের পরীক্ষা। এই আবহে স্থগিত রাখা হয়েছে সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও। সেই পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়েই রবিবার রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে বৈঠক বসেছিল। সেই বৈঠকেই দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ এবং পঞ্জাব দাবি তোলে, পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সমস্ত পরীক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের করোনা টিকাকরণ সম্পন্ন হলে তবেই যেন পরীক্ষা নেওয়া হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর সিবিএসইর দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কোভিডের সংক্রমণ বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে মে মাস থেকে শুরু হওয়া দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিলের দাবি উঠেছিল। সেই প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে পরীক্ষা কি পুরোপুরি বাতিল করা হবে নাকি তা পরে নেওয়া হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসেন সব রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীরা। বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীও ছিলেন।
জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকে অধিকাংশ রাজ্যই পরীক্ষার পক্ষে। মহারাষ্ট্র, তেলাঙ্গানা পরীক্ষা না নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে আগামী ১ জুন পরীক্ষার সময় সূচি প্রকাশ করা হতে পারে। এই আবহে দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ এবং পঞ্জাব দাবি তোলে, পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সমস্ত পরীক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের করোনা টিকাকরণ সম্পন্ন হলে তবেই যেন পরীক্ষা নেওয়া হয়।
এই প্রসঙ্গে দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া বলেন, ‘পড়ুয়াদের সুরক্ষার নিয়ে কোনও ভাবেই ছিনিমিনি খেলা যায় না। এভাবে পরীক্ষার আয়োজনের বিষয়টি বড় ভুল হতে পারে। প্রথমে টিকা, তারপর পরীক্ষা। দেশজুড়ে দ্বাদশ শ্রেণির ১.৫ কোটির বেশি পড়ুয়া আছে। ৯৫ শতাংশ বয়স সাড়ে ১৭-এর বেশি। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা উচিত কেন্দ্রের, যাতে কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়া যায়।’ এই একই সুর ছিল পশ্চিমবঙ্গ এবং পঞ্জাবের গলাতেও।