গত ১০ বছরে সংস্থাগুলির CEO পদাধিকারীদের বেতন ১৫০০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে ফ্রেশারদের বেতন বেড়েছে ৪৫% ।
1/5গত ১০ বছরে আইটি সেক্টরে ফ্রেশারদের বেতন বেড়েছে বটে। কিন্তু অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, অতি উচ্চপদস্থদের বেতন বেড়েছে অনেক বেশি হারে। বিজনেস টুডে-র এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১০ বছরে সংস্থাগুলির CEO পদাধিকারীদের বেতন ১৫০০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে ফ্রেশারদের বেতন বেড়েছে ৪৫% । ফাইল ছবি: পিক্সাবে (PTI)
2/5ইনফোসিসের বোর্ড সদস্য এবং প্রাক্তন CFO টিভি মোহনদাস পাই এই সম্পর্কে বলেন, '১০-১২ বছর আগে সংস্থাগুলি ফ্রেশারকে ৩.৫-৪ লক্ষ টাকার বেতন দিত। এখনও প্রায় তার আশেপাশেই দেওয়া হয়। কিন্তু ম্যানেজার এবং সিনিয়র কর্মীদের বেতন ৪, ৫ বা কোনও কোনও ক্ষেত্রে ৭ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। ফাইল ছবি: পিটিআই (PTI)
3/5কিন্তু ফ্রেশারদের বেতনের সঙ্গে উচ্চপদস্থদের বেতনের এতটা বেশি পার্থক্যের কারণ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংস্থাগুলি আগের তুলনায় অনেক বেশি ফ্রেশার নিয়োগ করে। তাদের প্রশিক্ষণের খরচ আছে। তাছাড়া এখন চাকরির সুযোগ বেড়েছে। ফ্রেশাররা সাধারণত কয়েক বছরের মধ্যেই নতুন কোথাও চলে যান। সেই সুইচ করার সময়ে এমনিতেই তাঁরা প্রায় দ্বিগুণ পর্যন্ত প্যাকেজ পেয়ে যান। ফলে প্রাথমিক পর্যায়ে কর্মীদের বেশি বেতন দিয়ে খরচ বাড়াচ্ছে না আইটি সংস্থাগুলি। তবে আইআইটি, NIT-র মতো প্রথম সারির কলেজের ফ্রেশারদের বেতন আগের তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফাইল ছবি: পিক্সাবে (PTI)
4/5এই বিষয়ে NASSCOM-এর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কিরণ কার্নিক বলেন, নতুন স্নাতক ও ফ্রেশারদের দক্ষতার অভাব থাকে। সংস্থার যা চাই, তা তাদের সেই মুহূর্তে জানা থাকে না। তাই কোম্পানিকেই তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হয়। অনেক সময়ে দেখা যায় কারও কারও সংস্থায় কাজ করার 'সফট স্কিল' অর্থাত্, বিভিন্ন ভাষায় কথা বলার দক্ষতা, একটি দলে মিলেমিশে কাজ করা ইত্যাদির অভাব রয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই শুরুতেই তাদের বেশি বেতন প্রদান করা হয় না।' ফাইল ছবি: রয়টার্স (PTI)
5/5সহমত টিসিএস-এর এক আধিকারিকও। তিনি জানালেন, বর্তমানে ফ্রেশারদের ১-২ বছরের মধ্যে নতুন চাকরি খোঁজার প্রবণতা বেশি। তাছাড়া সংস্থার অভ্যন্তরে পদোন্নতি হলে আগের তুলনায় দ্রুত হারে বেতন বাড়ে। সেই কারণেই ফ্রেশার স্তরের বেতন সেই হারে বাড়ানো হয়নি। তবে ভারতের বাজারে ভাল জীবনযাপনের জন্য যা ন্যূনতম চাহিদা, তার চেয়ে বেশি টাকাই এখনও পান ফ্রেশাররা। ফাইল ছবি: পিটিআই (PTI)