নিট পরীক্ষায় কোনও দুর্নীতি হয়নি। এমনই দাবি করলেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তবে নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগগুলি সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার'। উল্লেখ্য, মেডিক্যালে ভরতির জন্য অনুষ্ঠিত নিট পরীক্ষায় ১৫৬৩ জন পীক্ষার্থীকে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছিল। আজ আদালতে সরকারের তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। পাশাপাশি শীর্ষ আদালতে আজ প্রস্তাব দেওয়া হয়, এই পরীক্ষার্থীদের গ্রেস মার্কস বাতিল করা হবে এবং তাঁদের পুনরায় পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। সেই পরীক্ষা ২৩ জুন নেওয়া হতে পারে। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কাউন্সেলিং বন্ধ করা হবে না। (আরও পড়ুন: শিয়ালদা শাখায় ১২ কামরার লোকাল চালাতে কাজ জারি, দমদমে শেষের পথে 'তৃতীয় ধাপ')
আরও পড়ুন: বাংলার সরকারি কর্মীদের পকেটে ঢুকবে বেশি বেতন, লাভ ৮০০০ পর্যন্ত একনজরে হিসেব
আরও পড়ুন: ১৮ শতাংশ ডিএ-র 'ভাঁওতা' ধরলেন অবসরপ্রাপ্ত তৃণমূলী সরকারি কর্মী, করলেন বড় দাবি
এদিকে আজ সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা চলাকালীন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে এই নিট বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তখন ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, 'কোনও দুর্নীতি হয়নি। নিট পরীক্ষায় প্রায় ২৪ লক্ষ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে আজ শুনানি চলছে এবং এই ইস্যুটি প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থীর বিষয়ে। কিছু বৃহত্তর প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সরকার আদালতে জবাব দিতে প্রস্তুত। এই সুনির্দিষ্ট বিষয়টির বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষাবিদদের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরকার এটিকে আদালতের সামনে উপস্থাপন করবে... এনটিএ ৩টি বড় বড় পরীক্ষা পরিচালনা করে - NEET, JEE এবং CUET। দেশে সফলভাবে এই পরীক্ষাগুলি পরিচালনা করে এনটিএ... যে কিছু নির্দিষ্ট অভিযোগগুলি সামনে এসেছে, সেগুলি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আমরা দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।' (আরও পড়ুন: পুজোর ছুটিতে ঘুরতে যাবেন? টিকিট কাটার ক্ষেত্রে মিলবে বড় সুবিধা, ঘোষণা রেলের)
আরও পড়ুন: কী ঘটেছিল ১৬ মে? ডিএ আন্দোলনকারী ভাস্করের বিরুদ্ধে কেন উঠল শ্লীলতাহানির অভিযোগ
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকার বাতিলের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। মামলাকারীরা অভিযোগ করেন যে এবার নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে। অন্যান্য অনিয়ম হয়েছে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হয় শীর্ষ আদালতের বিচারপতি নাথ এবং বিচারপতি আমানুল্লার অবকাশকালীন বেঞ্চে। এই আবহে নিটের আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির থেকে জবাব চেয়েছিল শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লার অবকাশকালীন বেঞ্চ। গ্রেস মার্কসের বিষয়ে এনটিএয়ের তরফে দাবি করা হয়, দেশজুড়ে ২৪ লাখ নিট প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়। (আরও পড়ুন: দিতে হবে ২৮ লাখ, সঙ্গে ৯ বছরের জন্য ৮% সুদ, বড় রায় বাংলার সরকারি কর্মীর পক্ষে)
আরও পড়ুন: রবিবার বিশেষ মেট্রো চলবে কলকাতা নর্থ-সাউথ লাইনে, একনজরে দেখুন সময়সূচি
সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা একটি পিটিশনে দাবি করা হয়েছিল যে পটনায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়। আর রাজস্থানের প্রার্থীদের ভুল প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। যদিও ইতিমধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে এনটিএ। সেখানেই অবশ্য বিতর্কে ইতি পড়েনি। এবার ৬৭ জন প্রথম স্থানাধিকারী হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষত হরিয়ানার একটি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ছ'জন প্রথম হওয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে। সেইসঙ্গে গ্রেস মার্কস দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে বহু পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কারণ অনেকেই ৭১৯ বা ৭১৮ নম্বর পেয়েছিলেন। তবে নিট পরীক্ষার মার্কিং নিয়মে তা সম্ভব নয়। আদতে ৭২০ নম্বরের পরে প্রাপ্ত নম্বর ৭১৬ নম্বর বা ৭১৫ নম্বর হতে পারে। যদিও সেই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হওয়ায় গ্রেস নম্বর ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানাল কেন্দ্রীয় সরকার।