আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত সেমেস্টার বা বর্ষের পরীক্ষার বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন কয়েকজন পড়ুয়া। আগামিকাল সেই আর্জি শুনবে সুপ্রিম কোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ। সেটির নেতৃত্বে রয়েছেন বিচারপতি অশোক ভূষণ।
আরও পড়ুন : WBPSC Clerk Part II 2019 Exam Dates: কবে হতে পারে পরীক্ষা, জেনে নিন দিনক্ষণ
গত ৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) বাধ্যতামূলকভাবে চূড়ান্ত সেমেস্টার বা বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার যে নির্দেশিকা জারি করেছিল, তা পড়ুয়াদের স্বার্থে খারিজের আর্জি জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১ জন ছাত্রছাত্রী। তাঁদের মধ্যে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন : বন্ধ থাকতে পারে স্কুল-মেট্রো, পরবর্তী আনলক পর্যায়ে কীসে কীসে বিধিনিষেধ থাকবে?
মোট ১৩ টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ওই পড়ুয়াদের আর্জি, অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন (ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট) বা আগের ফলের ভিত্তিতে নম্বর হিসাব করে আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে মার্কশিট দেওয়া হোক। যে পড়ুয়ারা সেই নম্বরে সন্তুষ্ট হবেন না, সিবিএসইয়ের ধাঁচে তাঁদের জন্য পরে পরীক্ষার বন্দোবস্ত করার আর্জি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : ফোনে জানা যাবে করোনা পরীক্ষার ফল, খরচ ৪০০ টাকা, নয়া ডিভাইস তৈরি IIT খড়্গপুরের
যদিও ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ গ্রুপের হিন্দি সংবাদমাধ্যম ‘হিন্দুস্তান’-এ এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে আগেই কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ ও উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল ‘নিশাঙ্ক’ জানিয়েছিলেন, পরীক্ষা এগিয়ে আনা বা পিছিয়ে দেওয়ার বিষয় ঠিক আছে। কিন্তু পরীক্ষা বাতিলের কোনও জোরদার কারণ নেই। অর্থাৎ যে কোনও পরিস্থিতিতেই পরীক্ষা আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন পোখরিয়াল। মন্ত্রী বলেন, ‘কোনও অভিভাবক বা প্রতিষ্ঠানই চাইবেন না যে বিনা পরীক্ষায় পড়ুয়াদের পাশ করিয়ে দেওয়া হোক। পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সিদ্ধান্তে দেশের ৯০ শতাংশ অধ্যক্ষ সহমত প্রকাশ করেছেন।’
আরও পড়ুন : Covaxin Human Trial: প্রথম পর্যায়ে পরীক্ষার ফল আশাব্যঞ্জক, জানালেন গবেষকরা
তিনি আরও জানান, পড়ুয়াদের উপর যাতে করোনাভাইরাসের ছাপ না পড়ে যায়, সে কথা ভেবেই চূড়ান্ত টার্মের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। করোনার ছাপ বলতে কী বোঝাচ্ছেন, সেই ব্যাখ্যাও দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি জানান, যদি বিনা পরীক্ষায় ডিগ্রি পেয়ে যান পড়ুয়ারা, তাহলে ভবিষ্যতে বড় চাকরিতে গিয়ে তাঁদের কটাক্ষের মুখে পড়তে হতে পারে। তাঁদের মার্কশিট বাঁকা চোখে দেখে বলা হতে পারে - ‘এরা তো করোনার সময়ের, বিনা পরীক্ষায় পাশ করা।’ মন্ত্রীর কথায়, ‘এই জন্য চাই না, কোনও পড়ুয়ার ভবিষ্যতের উপর করোনার ছাপ না পড়ুক।’