বাংলা নিউজ > কর্মখালি > Final Semester Exam: ফাইনাল টার্ম পরীক্ষা নিয়ে UGC-র জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

Final Semester Exam: ফাইনাল টার্ম পরীক্ষা নিয়ে UGC-র জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

সুপ্রিম কোর্ট (ছবি সৌজন্য ফেসবুক)

এক পড়ুয়ার আইনজীবী সওয়াল করেন, মহামারীর মধ্যে চূড়ান্ত সেমেস্টার বা বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত 'অবাস্তব এবং অভাবনীয়'।

চূড়ান্ত সেমেস্টার বা বর্ষের পরীক্ষা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে সেই উত্তর দিতে হবে। সেদিনই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন : তিনটি মূল মাপকাঠিতে পিছিয়ে, কোভিড হটস্পট হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গের

গত ৬ জুলাই ইউজিসি বাধ্যতামূলকভাবে চূড়ান্ত সেমেস্টার বা বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার যে নির্দেশিকা জারি করেছিল, তা পড়ুয়াদের স্বার্থে খারিজের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১ জন ছাত্রছাত্রী। তাঁদের মধ্যে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

আরও পড়ুন : Unlock 3: বন্ধ থাকতে পারে স্কুল-মেট্রো, পরবর্তী আনলক পর্যায়ে কী কী বিধিনিষেধ থাকবে?

মোট ১৩ টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ওই পড়ুয়ারা আর্জি জানান, অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন (ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট) বা আগের ফলের ভিত্তিতে নম্বর হিসাব করে আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে মার্কশিট দেওয়া হোক। যে পড়ুয়ারা সেই নম্বরে সন্তুষ্ট হবেন না, সিবিএসইয়ের ধাঁচে তাঁদের জন্য পরে পরীক্ষার বন্দোবস্ত করার আর্জি জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন : ভারতে মোট আক্রান্ত ছাড়াল ১৪ লাখ, নয়া মাইলস্টোন পার সুস্থতার

সেই মামলার শুনানিতে সোমবার এক পড়ুয়ার আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি সওয়াল করেন, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে চূড়ান্ত সেমেস্টার বা বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত 'অবাস্তব এবং অভাবনীয়'। রাজ্যগুলি সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি জানালেও তাতে কেন্দ্র কোনও ভ্রূক্ষেপ করেনি বলে দাবি করেন তিনি।

আরও পড়ুন : চিনা সংস্থারা যে সব টেন্ডার জেতার মুখে, শুধু সেগুলি বাতিল করবে ভারত

সেই সওয়ালের প্রেক্ষিতে বিচারপতি প্রশান্ত ভূষণ সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার কাছে জানতে চান, নির্দেশাবলীর জন্য তাঁর কোনও সময় চাই কিনা। তার জবাবে মেহতা বলেন, 'আমরা শুধুমাত্র চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নিয়ে ভাবছি। ভারতে ৮১৮ টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। তার মধ্যে ৩৫ টি চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার পর্যায়ে পৌঁছায়নি। ২০৯ টি (পরীক্ষা) শেষ করেছে এবং ৩৯৪ টি পরীক্ষা আয়োজনের পর্যায়ে আছে।' তিনি জানান, অনলাইন, অফলাইন বা দু'ভাবেই পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এমনকী কেন্দ্রের তরফে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তাতে সামাজিক দূরত্ব বজায়ের জন্য প্রতিটি রুমে ১০ জনের বেশি পড়ুয়া নিয়ে পরীক্ষা আয়োজন করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন : ফোনে জানা যাবে করোনা পরীক্ষার ফল, খরচ ৪০০ টাকা, নয়া ডিভাইস তৈরি IIT খড়্গপুরের

পালটা পড়ুয়াদের তরফে আইনজীবী অলোক আলাখ শ্রীবাস্তব বলেন, 'আজ ৫০,০০০ করোনা কেস ধরা পড়েছে।' কেন্দ্রের নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশের দাবি জানান তিনি। শেষপর্যন্ত সলিসিটর জেনারেল জানান, শীর্ষ আদালতে যে আবেদনগুলি জমা পড়েছে, তা নিয়ে একসঙ্গে জবাব দেবে ইউজিসি।

বন্ধ করুন