সন্ধ্যেবেলা মিলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমতি। তারপরেই মানবসম্পদ ও বিকাশ মন্ত্রক বলে দিল যে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা নিতে হবে। এর আগে জুলাইয়ের মধ্যে পরীক্ষা প্রক্রিয়া মেটাতে হবে বলে জানিয়েছিল মন্ত্রক। কিন্তু কোভিড কেসের সংখ্যা বাড়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
তবে যারা সেপ্টেম্বরে কোনও কারণে পরীক্ষা দিতে পারবেন না, তাদের জন্য পরে পরীক্ষা দেওয়ার একটা সুযোগ দেওয়ার কথা বলেছে মন্ত্রক। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি-র) সংশোধিত গাইডলাইনসে এই কথা বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কিছু রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করার মন্ত্রকের পূর্ব নির্দেশিকাকে মাথায় রেখে বিভিন্ন ফরমুলা ব্যবহার করে চূড়ান্ত সেমেস্টারের মূল্যায়ণ করছিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। এবার অবশ্য তার আর প্রয়োজন পড়বে না কারণ হাতে আরো অতিরিক্ত দুই মাস পাওয়া গেল এবং চূড়ান্ত বছরের পরীক্ষা নেওয়া আবশ্যিক বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য বছর ও অন্য সেমের জন্য নিজেদের ইচ্ছামতো নিয়মে মূল্যায়ণ করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া এসওপি মেনে এই পরীক্ষা সংগঠিত হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কুহাড কমিটির সুপারিশ মেনেই পরীক্ষার গাইডলাইনস দিয়েছে ইউজিসি। অফলাইন, অনলাইন বা মিশ্র প্রক্রিয়ায় এই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য ও তাদের কেরিয়ার, দুটির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। সারা বিশ্বে স্বীকৃতির জন্য পরীক্ষা নেওয়াটি জরুরি ছিল বলেই জানিয়েছে ইউজিসি।
বহু জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়েরা পরীক্ষা নিতে চাইলেও পড়ুয়াদের প্রতিবাদের মুখে পড়েছেন। অনেকেই বলেছেন তাদের পক্ষে অনলাইন পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। ইন্টারেনেটের সমস্যার কথাও উঠে এসেছে। ইউজিসি-র এই নির্দেশিকার ফলে পড়ুয়ারা একটু সময় পাবেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও নিজেদের পরিকাঠামো উন্নত করে নেওয়ার সুযোগ পাবে সেপ্টেম্বরের আগে।
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পরবর্তী সময়ে অ্যাডমিশনের ক্ষেত্রে আলাদা করে নির্দেশিকা জারি করতে পারে ইউজিসি। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষও আরো পিছিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।