চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য এবার দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে খোলার অনুমতি দিল কেন্দ্র৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রিত ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি খোলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷
শীর্ষ আদালতে হলফনামা পেশ করে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার নেওয়ার জন্য বড় অংশের পড়ুয়াদের স্বার্থ বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে৷ হলফনামায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে, ৩১ অগস্ট পর্যন্ত স্কুল-কলেজ-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টারগুলি বন্ধ রাখার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন নির্দেশিকা অনুযায়ী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা আয়োজনের জন্য নিয়ন্ত্রিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাড় দেওয়া হচ্ছে৷
দেশের শীর্ষ আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে নিজেদের অনড় অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্র৷ হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে পরীক্ষা নেওয়ার প্রক্রিয়া মেটাতে সমস্ত রকম প্রস্তুতি চলছে৷ কোনও কারণে পড়ুয়ারা পরীক্ষা দিতে না পারলে, তাঁদের জন্য পরে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে৷ করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে পড়ুয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা এড়াতে অনলাইন ও অফলাইন দু’টি পদ্ধতিতেই পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকছে৷
চূড়ান্ত বর্ষে পরীক্ষা না নেওয়ার জন্য যে সমস্ত রাজ্য আপত্তি তুলছে, তাদের বিরুদ্ধেও হলফনামায় গুচ্ছ প্রশ্ন তোলা হয়েছে ৷ ইউজিসি-র দাবি, বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী গত ৬ মে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়৷ ১ জুলাই থেকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়৷ পরে সেই সিদ্ধান্ত বদল করে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্র৷
পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশের বিরুদ্ধে দায়ের শীর্ষ আদালতে মামলা চলেছে৷ করোনা আবহে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব কিনা এ ব্যাপারে গত সপ্তাহে কেন্দ্রের মতামত জানতে চায় আদালত৷ বৃহস্পতিবার সেই মামলার হলফনামা পেশ করে কেন্দ্র৷ আগেই অবশ্য কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ইউজিসি-র নির্দেশ লঙ্ঘন করতে পারে না কোনও রাজ্য সরকার৷ পরীক্ষা না হলে ডিগ্রি দেওয়া হবে না বলেও শীর্ষ আদালতে সওয়াল করে কেন্দ্র৷ এবার কেন্দ্রের নয়া অবস্থান ঘিরে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।