ফ্রেশারদের বেতন বাড়ানো যাবে না। কারণ বর্তমানে চাহিদার তুলনায় ফ্রেশারের সংখ্যাই বেশি। এমনটাই বলছে Wipro কর্তৃপক্ষ। নতুন চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, গত ১০ বছরে সেভাবে ফ্রেশারদের স্টার্টিং প্যাকেজ বাড়েনি। বর্তমানে তা বৃদ্ধি করা উচিত্ বলে দাবি তাঁদের। অথচ তাতে বিশেষ কান দিচ্ছে না বেশিরভাগ সংস্থাই।
মানিকন্ট্রোলকে দেওয়া এক সাম্প্রতিক সাক্ষাতকারে সংস্থার নিয়োগের পরিকল্পনা, ফ্রেশার বিতর্ক নিয়ে আলোচনা করেন উইপ্রোর চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার (CHRO) সৌরভ গোভিল।
সম্প্রতি উইপ্রোর বিরুদ্ধে ফ্রেশারদের বিশেষ ট্রেনিং দিয়েও ৬.৫ লাখের চাকরির বদলে ৩.৫ লাখেই জয়েন করতে বলার অভিযোগ ওঠে। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে উইপ্রোর মানবাধিকার প্রধান জানান, 'আমরা ক্যাম্পাস থেকে ৩.৫ লক্ষ টাকাতেই নিয়োগ করেছি। প্রত্যেককে একই বেতনে নিয়োগ করা হয়েছে। তখন সংস্থা হিসেবে আমরা বলেইছিলাম যে এই কর্মীদের উপর বিনিয়োগ করা হবে। আমাদের খরচেই, আমরা তাঁদের ফুল-স্ট্যাক ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আমরা জানিয়েছিলাম যে তাঁরা প্রশিক্ষণ শেষ করার পরে এবং মূল্যায়নের পরীক্ষায় পাশ করলে তাঁদের ৩.৫ লাখের বদলে ৬.৫ লাখের বেতন দিয়ে অনবোর্ড করা হবে। আরও পড়ুন: সাড়ে ৬ লাখের কথা বলে সাড়ে ৩ লাখ টাকার অফার কেন? Wipro-র নামে নালিশ কেন্দ্রকে
আমরা ভেলোসিটি প্রার্থীদের প্রথম ব্যাচকে অনবোর্ড করেছি। তারপরে যদিও সেই মুহূর্তে আর আমাদের এই ধরণের কর্মীদের চাহিদা ছিল না। তবে আমরা কম রেঞ্জেই তাদের নিয়োগ করে দিয়েছি। স্বচ্ছতার জন্য অবশ্য আমরা অপশনও দিয়েছিলাম। যদি কেউ চাকরি এখনই শুরু করতে চান, তাঁরা ৩.৫ লক্ষ টাকার প্যাকেজেই যোগ দিতে পারেন। অন্যদিকে ৬.৫ লক্ষ টাকা চাইলে তাঁরা অপেক্ষা করলে তা অবশ্যই পাবেন। কিন্তু দেখা যায় ৯২%-ই কম বেতন স্তরে যোগ দিয়ে দেন। খুব কম চাকরিপ্রার্থীই আরও বেশি প্যাকেজের জন্য অপেক্ষা করেছেন। এমনটাই জানালেন উইপ্রোর মানবাধিকার প্রধান।
ফ্রেশারদের বেতন কি বাড়ানো হতে পারে? সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানালেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নয়। যে কোনও ক্ষেত্রে বেতন চাহিদা এবং জোগানের উপর নির্ভরশীল। এই মুহূর্তে, ফ্রেশারদের সরবরাহ অনেক বেশি। এই পরিস্থিতিতে বেতন বাড়তে পারে না। আরও পড়ুন: তরুণ কর্মীরা ইমেল টুকুও পড়ে না, ইনস্টাগ্রামে গিয়ে কথা বলতে হয়, দাবি Wipro-র CEO