ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে দুঃস্থ শিক্ষার্থীদের ইলেকট্রনিক ট্যাবের মতো যন্ত্র বিতরণ করা উচিত সরকারের। সেই সঙ্গে ইন্টারনেটের অনুপযুক্ত কনটেন্টের ওপর নজর রাখতে হবে। এমনটাই সুপারিশ করেছে ই-শিক্ষার উন্নতির জন্য গঠিত মন্ত্রীদল (GoM)।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রীদের প্যানেল তাদের রিপোর্টে একাধিক উপায়ের কথা বলেছে। এতে বলা হয়েছে, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সরকারি ও পুরসভার স্কুলগুলিতে ডিজিটাল শিক্ষা চালু করতে হবে। সরকারি স্কুল ও গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য ১-২ ঘন্টার ক্যাপসুল প্রোগ্রাম সম্প্রচার করতে হবে। এমনকি শিক্ষার্থীদের ইলেকট্রনিক ট্যাবলেট দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করা যেতে পারে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়, করোনা আবহে দুঃস্থ ও গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল ডিভাইস না থাকাটা একটা বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
অনুপযুক্ত কনটেন্টগুলি শিক্ষার্থীদের নাগালে যাতে না আসে সে জন্য সরকারকে উপযুক্ত পরিকাঠামো গর তোলার সুপারিশ করা হয় মন্ত্রীদের প্যানেলে।
মজার ভিত্তিতে পড়াশুনো চালানোর জন্য শিক্ষার্থীদের উপযোগী উপকরনের প্রয়োজনীয়তার কথাও প্যানেল বলে। এজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিল্প, কলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার সুপারিশ করা হয় প্যানেলে।
ইনফর্মাল অনলাইন দক্ষতা কোর্সের শংসাপত্রের জন্য একটি সিস্টেমও বিবেচনা করা যেতে পারে, এমন প্রস্তাবও রিপোর্টে দেওয়া হয়েছে।