মিড ডে মিল প্রকল্পের পরিধি আরও বাড়ানোর প্রস্তাব দিল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাক প্রাথমিক পর্যায়ে মিড ডে মিল চালু করার পাশাপাশি কিন্ডারগার্টেন-এর শিশুদের প্রাতরাশ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এবারে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারের মতামত জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক।
১২ অক্টোবর রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আর সি মিনা জানান, মন্ত্রক বর্তমান মিড ডে মিল স্কিম সংশোধন ও পরিমার্জনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। নতুন শিক্ষানীতিতে প্রকপ্রাথমিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং এই স্তরে মিড ডে মিল ও ব্রেকফাস্ট চালু করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে ১.১৩৪ মিলিয়ন সরকারি স্কুলের প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ১১৬ মিলিয়ন পড়ুয়া কে মিড ডে মিল দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের ৬০% খরচ কেন্দ্র বহন করে। বাকিটা রাজ্য সরকার করে থাকে। ২০২০-২১ বাজেটেই প্রকল্পের জন্য ১১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
কিন্ডারগার্টেন পড়ুয়াদের এই পকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হলে ব্যয় আরও বাড়বে তা বলাই বাহুল্য।
চিঠিতে মিনা বলেন, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারের পরামর্শগুলো এক্সপেন্ডইচার ফিনান্স কমিটি (EFC) আলোচনা করবে।
রাজ্যগুলিকে লেখা চিঠিতে শিক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের পরামর্শ মতো রাঁধুনি তথা সহায়কদের সাম্মানিক বাড়ানো হবে।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সচিব উদায়কুমার ভার্মা বলেন, মিড ডে মিল প্রকল্পের দুটি লক্ষ্য। পুষ্টি সরবরাহ করা এবং সেই সঙ্গে স্কুল ছুটের সংখ্যা কমানো। ব্রেকফাস্ট দেওয়া হলে এই প্রকল্প অনেক বেশ কার্যকর হবে।
কৃষকদের সাহায্যের লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রীর উপদেশ মতো শিক্ষামন্ত্রী রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের সরকারকে মিড ডে মিলের খাবারে মধু ও মাশরুম যোগ করার পরামর্শ দেন। এর ফলে পড়ুয়াদের যেমন পুষ্টিকর খাবার মিলবে তেমনি দেশজুড়ে মৌমাছি চাষ ও মাশরুম উৎপাদনও বাড়বে ।