করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের কারণে চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় ফি মকুবের দাবি জানালেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (IIM) এর কলকাতা ক্যাম্পাসের পড়ুয়ারা। কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে এমবিএ প্রোগ্রাম যথাসময়ে শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
IIM-কলকাতার ডিরেক্টর অঞ্জু শেঠ বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শিক্ষার্থীরা রীতিমতো উদ্বিগ্ন। এই বিষয়ে ডিরেক্টরকে একটি চিঠি দিয়েছে স্টুডেন্ট কাউন্সিল।
সেই চিঠির জবাবে ডিরেক্টর বলেন, ‘আমি জানি আপনাদের পরিকল্পনা পরিবর্তিত হয়েছে এবং আপনারা অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। আপনাদের সুরক্ষা আমাদের প্রাথমিক কর্তব্য এবং সমস্ত রকম সতর্কতা বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের IIMC ক্যাম্পাসে আনার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আপনাদের মিস করছি এবং আপনাদের এখানে চাই!’
চিঠিতে অঞ্জু শেঠ শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘এমবিএ প্রোগ্রাম সময়মতো শেষ করতে কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরিস্থিতির জটিলতা এবং চির-পরিবর্তিত দৃশ্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করছি। আইআইএম কলকাতায় আমরা সকলেই আপনাদের নিরাপদে, সময়মতো এবং সফলভাবে এমবিএ প্রোগ্রামটি সম্পন্ন করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সভাপতি হুনার গান্ধী আগেই বলেছিলেন যে অর্থনীতির পরিস্থিতি ভয়াবহ এবং স্নাতক ডিগ্রিপ্রাপ্ত ব্যাচগুলি ভবিষ্যতের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
স্টুডেন্ট কাউন্সিলের এক নেতা এক চিঠিতে বলেন, অনেকে ছাত্র মোটা অংকের লোন নিয়ে ছে, কেউ পূর্ববর্তী চাকরির জমানো অর্থ ব্যয় করছে এই কোর্সের জন্য। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে একই ফি প্রদান করার সামর্থ্য নেই আমাদের।
এমবিএ কোর্সের একজন শিক্ষার্থীকে এখন ২২ লাখ টাকা দিতে হয়। ছয় টার্মের বেশি হলে বেশি অর্থ দিতে হয়। ডিরেক্টরও শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ ও আশঙ্কা স্বীকার করেছেন।
ডিরেক্টর চিঠিতে বলেন, ‘অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও, আমার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা যে আমরা একটি ইতিবাচক অভিজ্ঞতা দিতে পারব। আমরা আপনার উদ্বেগ এবং আশঙ্কাগুলি বুঝতে পারছি। আশা করছি শীঘ্রই আপনাদের আরও সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারব।’