মাধ্যমিক পড়ুয়াদের পড়াশোনার উন্নতিই প্রথম লক্ষ্য। তাই এবার গুজরাটের আইআইটি-গান্ধীনগরের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে বিশেষ ট্রেনিং নেবেন উত্তরপ্রদেশের সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকরা। বিজ্ঞান এবং গণিতের মতো বিষয়গুলির জন্য এই ট্রেনিং কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। রাজ্য মাধ্যমিক শিক্ষা দফতরের প্রাথমিক উদ্যোগে, সরকারি হাই স্কুল এবং ইন্টারমিডিয়েট কলেজের ১৬৯ জন সহকারি শিক্ষক এবং লেকচারারদের ট্রেনিং দেওয়া হবে। পুরো পাঁচদিনের জন্য এই ট্রেনিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে।
- কবে থেকে শুরু হবে এই কর্মশালা
রাজ্য মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, রাজ্যের ৪৬ টি জেলার হাই স্কুলের প্রায় ১১১ জন শিক্ষক, যারা শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান এবং মধ্যবর্তী শিক্ষার্থীদের পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং জীববিদ্যা শেখান, তাঁরা ৫ থেকে ৯ জুন গুজরাটের আইআইটি-গান্ধীনগরে ট্রেনিং নেবেন। একইভাবে, ২৪ থেকে ২৮ জুন ইনস্টিটিউটে গণিতের ৫৮ জন শিক্ষকের প্রশিক্ষণেরও প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রয়াগরাজের পাঁচজন শিক্ষকও প্রশিক্ষণের জন্য গুজরাট যাবেন। তারা হলেন সরকারী গার্লস ইন্টার কলেজ (GGIC), সিভিল লাইনের সহকারি গণিত শিক্ষক জ্যোতি আগরওয়াল এবং রসায়নের প্রভাষক মধু যাদব, সহকারি বিজ্ঞান শিক্ষক কৃষ্ণা দ্বিবেদী, পদার্থবিদ্যার লেকচারার অজয় সিং এবং সরকারি ইন্টার কলেজ (GIC) এর জীববিজ্ঞানের প্রভাষক রণবিজয় সিং প্যাটেল।
- সরকারি খরচে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে
সরকারি খরচে আয়োজিত ট্রেনিংয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষকদের যে খরচ হয়েছে, তা সংশ্লিষ্ট জেলা পরিদর্শকদের স্কুলের (ডিআইওএস) দ্বারা পরিশোধ করা হবে। ট্রেনিং নিতে আসার জন্য শিক্ষকদের সঙ্গে করে ল্যাপটপ নিয়ে আসতে বলা হয়েছে, যাতে ট্রেনিংয়ের সময় ক্লাসরুমে পাঠদান এবং ডিজিটাল সামগ্রীর ব্যবহার সম্পর্কে তথ্য দেওয়া যায়। ইউপি স্কুল শিক্ষা দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল ইউপি, কাঞ্চন ভার্মা ৩০ মে, ২০২৪ তারিখে পাঠানো মিসিভগুলিতে সমস্ত ডিআইওএসকে নির্বাচিত শিক্ষকদের এই কয়েকদিনের জন্য কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মিসিভের কপি থেকে জানা গিয়েছে যে, যে নির্বাচিত শিক্ষকরা যাতে ট্রেনিং কর্মশালা শুরুর একদিন আগে আইআইটি-গান্ধীনগরে পৌঁছোন তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিআইওএস-কে।
- দিল্লির শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল
এর আগে দিল্লি থেকে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছিল। সরকারি খরচে দিল্লি থেকে শিক্ষকদের বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছিল। মূলত শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। যেখানে পড়ুয়ারা সব রকমভাবে প্রস্তুত থাকতে পারে।