২০ জুনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হোস্টেল খালি করতে বলল আইআইটি-খড়গপুর। কারণ লকডাউনের শুরু থেকে যে সমস্ত মেস স্টাফ ও ওয়ার্ড বয় অবিরাম কাজ করছিলেন, তাঁরা বাড়ি যেতে চান। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে ১০,৫০০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী ছাত্রাবাসেই আছেন।
কয়েকজন শিক্ষার্থী এবং অধ্যাপক এই নির্দেশে আপত্তি জানিয়ে বলেছেন, এখনও পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। এই অবস্থায় ছাত্রদের বাড়ি ফেরা অসুবিধেজনক। আইআইটি-খড়গপুর, অন্যান্য আইআইটি, আইআইএসসি, আইআইইএসটি এবং এনআইটি-র ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের মতো, লকডাউন আরোপের আগে শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস ছেড়ে যেতে বলেনি। এখন যখন আইআইএসসি-র মতো প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরে আসতে বলেছে সে সময় হস্টেল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে ।
আইআইটি রেজিস্ট্রার বিএন সিং ১০ ই জুন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেন, ‘২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবং পড়াশোনা সংক্রান্ত সমস্ত কার্যক্রম ১৫ জুনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম আবার সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে পারে। তাই আমরা শিক্ষার্থী ( ইউজি, পিজি, গবেষক) এবং প্রজেক্ট কর্মী যারা এখনও হোস্টেল / হলগুলিতে আছেন তাঁদের অনুরোধ করছি, বাড়ি চলে যান। ২০ জুন থেকে সমস্ত হোস্টেল / হলগুলিতে মেস বন্ধ করে দেবে ইনস্টিটিউট।’
সিং বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তান। লকডাউন শুরু হওয়ার পরে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বাড়ি চলে গিয়েছেন। যাঁরা যাননি, তাঁদের হোস্টেলে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল এবং তাঁদের সমস্ত সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হয়েছিল। পাঁচ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী থেকে গিয়েছিলেন। এখন, যখন আনলক শুরু হয়েছে, প্রায় ৩০০০ শিক্ষার্থী বাড়ি ফিরেছেন এবং তাঁরা কোনও সমস্যায় পড়েননি। আমাদের শিক্ষাবর্ষ ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। তাই, আমরা বাকি ছাত্রদের বাড়িতে যেতে বলছি, কারণ আমাদের ওয়ার্ড বয়, নিরাপত্তারক্ষী এবং অন্যান্য কর্মীদের বিরতি দেওয়া প্রয়োজন।’
আইআইটি-খড়গপুরের এক প্রবীণ শিক্ষক বলেন, ‘স্বাভাবিক ট্রেন পরিষেবা এখনও শুরু হয়নি। সুতরাং, শিক্ষার্থীদের হয় বাসে অথবা ক্যাব ভাড়া করে যেতে হবে। তাই, এখন বাড়ি ফেরা তাদের পক্ষে খুব কঠিন।’
একজন শিক্ষার্থীর অভিযোগ, ‘আইআইএসসি-ব্যাঙ্গালোর এবং অন্যান্য ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে। এখানে কর্তৃপক্ষ একেবারেই নির্লিপ্ত।’