রাজার ছেলে রাজা হবে, হৃতিক রোশনের ব্লক বাস্টার মুভি 'সুপার ৩০'-এর সংলাপ। এই ছবিতে আনন্দ কুমারের ভূমিকায় ছিলেন হৃতিক রোশন। ব্যয়বহুল কোচিং ইনস্টিটিউটের উপর ভিত্তি করে গল্প বলেছিল ছবিটি। এবার দিল্লির কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে পড়ুয়াদের ডুবে যাওয়ার মর্মান্তিক দুর্ঘটনার আলোচনায় এসেছে বাস্তবের আনন্দ কুমারের বক্তব্য। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে 'সুপার ৩০'-র প্রতিষ্ঠাতা বলেছেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে ৯০ শতাংশ কোচিং ইন্সটিটিউট বন্ধ হয়ে যাবে।
রাউ আইএএস-এর বেসমেন্টে তিন ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় গোটা দেশে এখন আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আনন্দ কুমারও। তিনি এদিন বলেছেন, পড়ুয়ারা এখন কোচিং ইনস্টিটিউটের গ্রাহক হয়ে উঠেছে। অনলাইন বিষয়বস্তু থাকা সত্ত্বেও, পড়ুয়ারা কোচিংয়ের জন্য দিল্লি পৌঁছে যাচ্ছে। তবে, তাঁর এখন মনে হচ্ছে যে ভবিষ্যতে বেশিরভাগ কোচিং সেন্টার অনলাইনেই পড়াশোনা করাবে।
আরও পড়ুন: (UGC NET Examination Schedule 2024: ২১ অগস্ট থেকে শুরু হবে ইউজিসি নেট, এবার অগ্নিপরীক্ষা দেবে NTA)
১০-১৫ বছরের মধ্যে কোচিং বন্ধ হয়ে যাবে
আনন্দ কুমার বলেছেন, এটা আমার ভবিষ্যদ্বাণী। এটা ভুল হতে পারে, কিন্তু আমি মনে করি ৯০ শতাংশ কোচিং সেন্টার আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে মিলিয়ে যাবে। আমি আমার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এটি বলতে পারি। কয়েকজন ভালো শিক্ষক মিলে ভালো কন্টেন্ট তৈরি করলে পড়ুয়ারা ঘরে বসেই পড়াশোনা করতে পারবেন। এটি অফলাইন ক্লাসের চেয়ে তাঁদের জন্য বেশি উপকারি হবে।
আরও পড়ুন: (Medical Studies Rules: মেডিক্যাল পড়া ছেলে দিলে আর জরিমানা দিতে হবে না এই রাজ্যে)
সরকারের কাছে বিনামূল্যে ইউপিএসসি কোচিং সেন্টার তৈরি করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি
শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে কোচিং দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন আনন্দ কুমার। একটি দল গঠন করে, ইউপিএসসি পড়ুয়াদের জন্য বিনামূল্যে কোচিং প্রদানের জন্য আবেদন করেছেন কুমার। তিনি বলেছেন, বহু বছর পরিশ্রমের পর এনসিইআরটি বই লেখা হয়েছে। সেই বইগুলো খুব ভালো। সরকারের উচিত একটি বড় পোর্টাল চালু করা, যার ভিত্তিতে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়।
শিক্ষা ব্যবসা ভালো না
আনন্দ কুমার বলেছিলেন যে তিনি তাঁর কোচিং ফ্র্যাঞ্চাইজি বিক্রি করার জন্য অনেক প্রস্তাব পেয়েছেন, যাতে কোচিং সেন্টারগুলি আরও সম্প্রসারিত করা যায়, কিন্তু তিনি স্পষ্টভাবে তা করতে অস্বীকার করে দিয়েছেন। কারণ আনন্দ কুমারের বিশ্বাস যে শিক্ষাকে শিক্ষাই থাকতে হবে, ব্যবসায় পরিণত করা উচিত নয়। কুমার পরামর্শ দিয়েছিলেন যে কোচিং ইনস্টিটিউটগুলিতে উপযুক্ত বসার ব্যবস্থা এবং আরও ভাল একাডেমিক ফলাফল নিশ্চিত করতে নথিভুক্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সীমিত করা উচিত। কুমার আরও উল্লেখ করেছেন যে অনেক কোচিং সেন্টার আজকাল পড়ুয়াদের পিতামাতাদের ক্লায়েন্ট হিসাবেও উল্লেখ করছে, যা আধুনিক শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ প্রকৃতিকে সামনে টেনে নিয়ে আসছে। এর আগে, সোমবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখরও বলেছিলেন যে কোচিং কার্যত ব্যবসা হয়ে গিয়েছে।