লক ডাউনে পড়াশুনো চালিয়ে যেতে অনলাইন ক্লাস শুরু করে স্কুলগুলি। অগস্টে স্কুল খোলা হলেও অনলাইন পঠনপাঠন জারি থাকতে পারে। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মাত্র ৩৮.৭% ছাত্র জানিয়েছে যে, আবার স্কুল চালু হলে সেখানে গিয়েই পড়াশোনা করতে তারা বেশি আগ্রহী।
স্কুলগুলি শুরু হওয়ার পরে প্রায় ৫৩.৩ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছে যে, তারা কেবল অনলাইনেই পড়াশোনা করতে পারবে। ২৮.৭ শতাংশ অর্থাৎ এক তৃতীয়াংশেরও কম শিক্ষার্থী বলেছে, তারা এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না এবং এখনও অনলাইন শিক্ষাকে বিকল্প হিসাবে বিবেচনা করছে।
অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী বেশিরভাগ শিক্ষার্থী (৫৫.২ শতাংশ) ঘোষণা করেছে যে লকডাউনের মধ্যে ভার্চুয়াল ক্লাস তারা বেশ উপভোগ করছে। সমীক্ষা অনুসারে এক তৃতীয়াংশেরও বেশি শিক্ষার্থী ভবিষ্যতেও অনলাইন শিক্ষাই পছন্দ করছে।
এদিকে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্ক সমস্যা এবং অসম ইন্টারনেট পরিষেবার ফলে অনলাইনে শিক্ষা যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে তা বহু শিক্ষার্থী স্বীকার করেছে।
কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল আগেই বলেছেন যে পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে ১৫ আগস্টের পরে দেশের স্কুলগুলি আবার চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যখনই স্কুলগুলি আবার খোলা হবে, তখন মাস্ক পরা, ক্লাসে কম শিক্ষার্থীর উপস্থিতি সহ অন্যান্য স্বাস্হ্য সম্পর্কিত নির্দেশিকা মানতে হবে।
মন্ত্রী জানিয়েছেন যে, এই নির্দেশিকাগুলি NCERT তৈরি করেছে। করোন ভাইরাসের জন্য ২৩ শে মার্চ দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই স্কুল ও কলেজগুলি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।