বিদেশে কাজ করতে যাওয়া ভারতীয়দের আয় প্রায় ১২০% বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে দেশের মধ্যেই যাঁরা কোম্পানি সুইচ করেছেন, তাঁদের আয় গড়ে ৪০% বৃদ্ধি পেয়েছে। আরও পড়ুন: ChatGPT-র দাপটে কি চাকরি চলে যাবে? কী বললেন Infosys কর্তা?
মঙ্গলবার প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট(WDR) অনুযায়ী, ইঞ্জিনিয়ার-চিকিত্সক নয়। বরং কম দক্ষ ভারতীয়দেরই লাভ হচ্ছে বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে তাঁদেরই সবচেয়ে বেশি লাভ হয়েছে। কারণ তাঁদের আয় প্রায় ৫০০% বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরেই এই তালিকায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। সেখানে গিয়েও অদক্ষ কর্মীদের আয় এক লাফে প্রায় ৩০০% বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন মুলুকের তুলনায় সৌদি আরব, বাহরিন, ওমান, কাতার, কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাশাহীর দেশগুলিতে যাঁরা অভিবাসন করেন তাঁদের আয় বৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে কম।
তবে, বেশি দক্ষ কর্মীদের আয় অনেক বেশি। যেমন ধরুন প্রযুক্তি ক্ষেত্রের কর্মীরা সিলিকন ভ্যালিতে গেলে তাঁদের আয় বহুগুণ বাড়ছে। চিকিত্সকদের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। তবে এক্ষেত্রে আয়ের বৃদ্ধির দক্ষতা ছাড়াও বয়স, লোকেশন এবং ভাষায় স্বাচ্ছন্দ্যের উপর হাইক নির্ভর করে।
তবে মাইগ্রেশনের খরচের উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে। যেমন, কাতারে মাইগ্রেশনের ক্ষেত্রে গড়ে প্রায় ২ মাসের বেতন খরচ হয়ে যায়। কুয়েতে তা আরও বেশি। ভারতের ক্ষেত্রে এটি তাও মাননসই। বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যাওয়ার ক্ষেত্রে খরচ আরও বেশি।
ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত-মধ্যপ্রাচ্য এবং বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে কাজের সূত্রে অভিবাসন সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে মেক্সিকো-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কাজাখস্তান-রাশিয়ার মধ্যেও কর্মসূত্রে অনেক বেশি অভিবাসন হয়ে থাকে।
ভারতের কিছু অংশের মধ্যে আভ্যন্তরীণ স্থানান্তরও বেশি। কম দক্ষ কর্মীরা যেমন দেশের নানা প্রান্ত থেকে কেরল, মুম্বইয়ে আসেন বেশি। একইভাবে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীদের কর্ণাটক, তামিলনাড়ু যাওয়ার প্রবণতা বেশি।
WDR উল্লেখ করেছে, ভারত, মেক্সিকো, চিন এবং ফিলিপাইন-সহ বৃহৎ অভিবাসী জনসংখ্যার কিছু দেশে ব্যাপক হারে রেমিটেন্স বেড়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে কর্ম একজন ভারতীয় অভিবাসী কর্মী আনুমানিকভাবে তাঁর আয়ের প্রায় ৭০% পরিবারেই পাঠিয়ে দেন। আরও পড়ুন: IT Sector Jobs: চাকরি কমছে আইটি সেক্টরে, ভারতের তিন বড় সংস্থায় নিয়োগে প্রায় ৬৫% কাটছাঁট