বাংলা নিউজ > কর্মখালি > 'বাজার ভরা চাকরি'! গত ১৪ বছরের সবচেয়ে দ্রুত হারে নিয়োগ ভারতে

'বাজার ভরা চাকরি'! গত ১৪ বছরের সবচেয়ে দ্রুত হারে নিয়োগ ভারতে

প্রতীকী ছবি: এএআই (ANI)

সমীক্ষা বলছে, নতুন ব্যবসার ক্ষেত্রে দ্রুত সম্প্রসারণ হয়েছে। আর তার ফলে গত ১৪ বছরে দ্রুততম হারে কর্মী নিয়োগ করেছে সংস্থাগুলি।

বিশ্বজুড়ে মন্দার আশঙ্কা। কিন্তু তার মধ্যেই প্রত্যাশার চেয়ে ভাল পরিস্থিতিতে ভারতের চাকরির বাজার। অগস্ট ২০২২-এ পূর্বানুমানের চেয়েও দ্রুত বেড়েছে চাহিদা। কমেছে খরচের চাপ। S&P গ্লোবাল ইন্ডিয়া সার্ভিসেস পার্চেসিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স বা সংক্ষেপে PMI সূচক এমনটাই বলছে। অগস্টে এই সূচক বেড়ে ৫৭.২-এ পৌঁছে গিয়েছে। এদিকে গত জুলাইয়েই তা ৫৫.৫-এ ছিল- যা কিনা তার আগের চার মাসের সর্বনিম্ন ছিল।

সমীক্ষা বলছে, নতুন ব্যবসার ক্ষেত্রে দ্রুত সম্প্রসারণ হয়েছে। আর তার ফলে গত ১৪ বছরে দ্রুততম হারে কর্মী নিয়োগ করেছে সংস্থাগুলি।

S&P গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্স-এর অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ পলিয়ানা ডি লিমা বলেন, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের মাঝামাঝি সময়ে পরিষেবা ক্ষেত্রের কার্যকলাপ দ্রুত হারে বেড়েছে। ফলে জুলাইয়ের পরিস্থিতি থেকে কিছুটা পুনরুদ্ধার হয়েছে। কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ উঠে যাওয়া এবং সফল মার্কেটিং প্রচেষ্টাই এর কারণ বলে মনে করছেন তিনি।

তিনি বলেন, অগস্টে চার্জ মূল্যস্ফীতির হার জুলাইয়ের মতোই ছিল। তবে ইনপুট খরচের সেভাবে বৃদ্ধি হয়নি। গত এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম হারে বেড়েছে। কর্মসংস্থান গত ১৪ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে দ্রুততম গতিতে বেড়েছে এই অগস্টে।

কোন কোন সেক্টরে বৃদ্ধির পরিমাণ সর্বোচ্চ? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, অর্থ ও বিমা, সেলস এবং আউটপুট ক্ষেত্রে বৃদ্ধির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে যে, বেশিরভাগ পরিষেবা সংস্থাগুলিই আগামী ১২ মাসে আউটপুট বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছে।

শনিবার ব্রিটেনকে পেরিয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে ভারত(খবরটি পড়তে ক্লিক করুন)। প্রাক্তন প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ডঃ অরবিন্দ ভিরমানির ভবিষ্যদ্বাণী, এভাবে চলতে থাকলে, একদিন ভারত বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তমের স্থান অর্জন করবে। ২০৩০ সাল নাগাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনের পরেই নাম আসবে ভারতের (বর্তমান পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে) ।

এপ্রিল-থেকে-জুন ত্রৈমাসিকের গত এক বছরের দ্রুততম বার্ষিক গতিতে ভারতের অর্থনীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিষেবা এবং উত্পাদন কার্যকলাপে দুরন্ত হারে বৃদ্ধি হয়েছে। তবে এরই মাঝে আশঙ্কার কালো মেঘ দেখছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। তাঁদের মতে, চড়া সুদের হার, মূল্যবৃদ্ধি এবং বিশ্বব্যাপী মন্দা সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের কারণে আগামী ত্রৈমাসিকে এই গতি কমতে পারে।

বন্ধ করুন