কোম্পানির বাইরেও অন্য পেশাদার কাজ করতে পারবেন কর্মীরা। 'গিগ ওয়ার্কে' সম্মতি দিল ইনফোসিস। তবে একটাই শর্ত। কাজ নেওয়ার আগে অবশ্যই নিজের ম্যানেজারের থেকে অনুমোদন নিতে হবে। ম্যানেজার প্রোজেক্ট খতিয়ে দেখবেন। 'গিগ ওয়ার্কে'র কাজে যাতে ইনফোসিসের সঙ্গে কোনও স্বার্থগত দ্বন্দ্ব না থাকে, তা তিনি নিশ্চিত করবেন। আরও পড়ুন : Moonlighting-এর প্রবণতায় ধ্বংস হয়ে যেতে পারে IT সেক্টর! আশঙ্কা TCS কর্তার
সাম্প্রতিক 'মুনলাইটিং' বিতর্কের মাঝে এই প্রথম কোনও বড় ভারতীয় আইটি সংস্থা, এমন ঘোষণা করল। এর আগে সুইগি-সহ কিছু স্টার্ট-আপ কর্মীদের অফিসের বাইরে অন্য কাজে অনুমোদন দিয়েছিল।
যদিও এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ইনফোসিস কিন্তু একবারও এই নির্দেশিকায় এটিকে 'মুনলাইটিং' বলে উল্লেখ করেনি। খালি সংস্থার বাইরের প্রকল্প হিসাবে ব্যাখা করা হয়েছে।
ইনফোসিস এই বিষয়ে কর্মীদের একটি অভ্যন্তরীণ নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। তাতে ঠিক কীভাবে কর্মীরা 'গিগ' কাজ করতে পারবেন তা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
ইনফোসিস যদিও এর আগে বলেছে যে তারা মোটেও 'মুনলাইটিং' সমর্থন করে না। গত ১২ মাসে এমন করতে গিয়ে ধরা পড়ে যাওয়া কর্মীদের বরখাস্তও করেছে সংস্থা।

ইনফোসিসের সিইও সলিল পারেখ বলেছিলেন, তাঁরা দ্বৈত কর্মসংস্থান সমর্থন করেন না। তিনি বলেছিলেন যে, গত ১২ মাসে একসঙ্গে দুইটি কোম্পানিতে 'নির্লজ্জভাবে' কাজ করছেন এবং সংস্থার গোপনীয়তা ভঙ্গের আশঙ্কা রয়েছে, এমন কর্মীদের আমরা বিদায় জানিয়েছি।
তিনি বলেন, 'গিগ ওয়ার্ক'-এর জন্য ইনফোসিসের কর্মীদের জন্য ইতিমধ্যেই একটি নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। সেখানে অফিসের নির্দিষ্ট বেতনের বাইরেও বেশি কাজ করে আয় করতে চাইলে, কর্মীরা তা করতে পারেন। অর্থাত্ অন্য কোনও প্রোজেক্টে সাহায্য করে আরও বেশি আয় করতে পারেন তাঁরা। এই প্ল্যাটফর্মে আবেদনকারী ৪,০০০ কর্মীদের মধ্যে ৬০০ জন বর্তমানে তাঁদের মূল কাজের বাইরেও বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
গত মাসেই, ইনফোসিস এক মেলের মাধ্যমে তার কর্মীদের চুক্তির বাইরে দ্বিতীয় কাজ করার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিল। সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল যে, এই ধরনের কাজ করলে তাঁদের চুক্তির ইতি ঘটবে।
তবে শেষমেশ কর্মীদের 'গিগ ওয়ার্কে'-ই শর্তসাপেক্ষ অনুমোদন দিল ইনফোসিস।
ইনফোসিস জানিয়েছে যে, তাদের একটি অভ্যন্তরীণ গিগ কাজের প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যার নাম অ্যাক্সিলারেট। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ম্যানেজাররা বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য গিগ কাজের কাজের তালিকা করতে পারেন। আরও পড়ুন : Work From Home বন্ধ করে অফিস আসতে বলায় চাকরি ছাড়ছেন কর্মীরা: সমীক্ষা
বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যাট্রিশন রেট কমাতে এবং কর্মীদের খুশি রাখতেই সংস্থার এই সিদ্ধান্ত। যদিও আইটি কর্মীদের দাবি, ম্যানেজারের কাছে অফিসের বাইরের কাজের অনুমোদন চাওয়া বেশ জটিল একটি বিষয়। এতে ব্যক্তিগতভাবে কোনও ম্যানেজার সেই কর্মীর প্রতি বিরূপ মনোভাব ধারণ করতে পারেন। তাছাড়া বছর শেষে অ্যাপ্রেজাইলেও তার প্রভাব পড়তে পারে। এই বিষয়ে আপনার কী মত?