ইনফোসিস মাইসুরু ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ৪০০ শিক্ষানবিশকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে খবর মিলেছে। তারা অভ্যন্তরীন মূল্যায়নে পাশ করতে পারেনি বলে খবর। অবিলম্বে এই ইনফোসিস চত্বর ছেড়ে চলে যাওয়ার ব্যাপারে তাঁদের বলা হয়েছিল। এরপরই ভেঙে পড়েন সেই শিক্ষানবিশরা।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি এই গণ বরখাস্ত করা হয়েছিল। মানি কন্ট্রোলের রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে তারা অফার লেটার পেয়েছিলেন। এরপর তাঁরা প্রায় আড়াই বছর অপেক্ষা করছিলেন। এই গণবরখাস্তের জেরে ট্রেনিরা মারাত্মক সমস্যায় পড়েন।
কাজ হারানো এক শিক্ষানবীশ মানি কন্ট্রোলকে জানিয়েছেন, এটা নিষ্ঠুরতা। এত বড় একটা কোম্পানি। ট্রেনিরা সত্যি বলতেও ভয় পাচ্ছেন। এদিকে পিটিআইতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে ইনফোসিস কোম্পানির তরফেও বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সমস্ত ফ্রেশারদের এই মূল্যায়নে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য তিনবার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এনিয়ে তাঁরা ব্যর্থ হয়েছিলেন। এর জেরে তাঁরা আর এই সংস্থাতে চাকরি করতে পারবেন না। তাদের চুক্তিপত্রে এটা উল্লেখ করা ছিল। গত দু দশক ধরেই কোম্পানিতে এই বিষয়টি চালু রয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের এক মহিলা ট্রেনি কার্যত ভেঙে পড়েন। তিনি আধিকারিকদের বলেন, অন্তত আমায় রাতটুকু থাকতে দিন। আমি কালই চলে যাব। এখন আমি কোথায় যাব? এদিকে কোম্পানির আধিকারিকরা জবাব দিয়েছিলেন আমরা জানি না। আপনারা আর এই কোম্পানির অংশ নন। সন্ধ্যা ৬টার মধ্য়ে আপনাদের কোম্পানির অফিস ছাড়তে হবে।
এদিকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ফের ৪৫০জন ট্রেনিজের মূল্যায়ন করা হবে। তার আগে মারাত্মক আতঙ্ক ছড়িয়েছে ট্রেনিজের মাধ্য়মে। এদিকে মূল্যায়নের ক্ষেত্রে যে সীমা সেটা ক্রমশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশ করার যে যোগ্যতা সেটা ৫০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৬৫ শতাংশ করা হয়েছে। আর সেই সঙ্গেই ট্রেনিংয়ের সিলেবাসও ক্রমশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এই বর্তমান সিস্টেমে ২০০ ঘণ্টা পড়াশোনা করা দরকার। তার অর্থ হল প্রতি ট্রেনিকে অন্তত রোজ আট ঘণ্টা বাড়তি পড়াশোনা করতে হত। সেটাও অনেকে পড়াশোনা করার সুযোগ পায়নি। NITES-এর হরপ্রীত সিং সালুজা জানিয়েছেন, এই ধরনের কর্পোরেট অত্যাচার সেটাকে আর মানা যায় না। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি অবিলম্বে এনিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিন। ভারতীয় আইটি কর্মীদের অধিকার ও মর্যাদাকে তুলে ধরার জন্য আপনারা সচেষ্ট হন।