রাস্তার ধারে একটা ছোট্ট দোকান দিয়ে শুরু করেছিলেন যাত্রা। অল্প বয়সে ভুগেছিলেন পোলিও রোগে। হাল ছাড়েননি কখনওই। এবার তার সুফল পেলেন লি থিয়াম ওয়াহ। ৬০ বছর বয়সে এসে মালয়েশিয়ার একজন অন্যতম বিলিয়নিয়ার হলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ৬০ বছর বয়সী লি থিয়াম ওয়াহ, ৯৯ স্পিড মার্টের প্রতিষ্ঠাতা। ফরচুন জানিয়েছে, গত সাত বছরের হিসাবে, তাঁর কোম্পানি মালয়েশিয়ার বৃহত্তম আইপিও-র জায়গা নিয়েছে। ইনিশিয়াল পাবলিক অফার বা আইপিও বর্তমানে ৫৩১ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে। ফোর্বসের মতে, এই সাফল্যের কারণেই ওয়াহ-এর মোট সম্পদ এখন ২.৮ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: (WBPSC Miscellaneous 2024 পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড প্রকাশিত! কীভাবে ডাউনলোড করবেন? রইল জরুরি তথ্য)
৯৯ স্পিড মার্ট কুয়ালালামপুর স্টক এক্সচেঞ্জে প্রবেশ করার প্রথম দিন থেকেই বাজার কাঁপাচ্ছে। এটি শুধুমাত্র দেশের ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে ওয়াহ-এর অবস্থানকেই শক্তিশালী করেনি, সে দেশের পুঁজিবাজারের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্তও ছিল এটি।
এসজিএমসি ক্যাপিটাল পিটিই লিমিটেডের সিনিয়র পার্টনার মোহিত মিরপুরি হাইলাইট করেছেন যে এই উন্নয়ন বাজারের মনোভাবও উন্নত করতে পারে। আঞ্চলিক তালিকায় মালয়েশিয়াকে একটি বড় খেলোয়াড় হিসাবে প্রতিষ্ঠিতও করতে পারে।
আরও পড়ুন: (Infosys Delayed Offer Letter: আড়াই বছর পর হাজারের অধিক ইঞ্জিনিয়ারদের অফার লেটার দিল ইনফোসিস)
রাস্তার ধারের দোকান থেকে রিটেইল সাম্রাজ্যের গেম চেঞ্জার
বিলিয়নিয়ার হওয়ার পথে, ওয়াহের যাত্রা ছিল শক্ত হাতে হাল ধরে রাখা এবং সংকল্পের গল্প। ছোট থেকেই নানান ভাবে কষ্ট পেয়েছেন তিনি। ১৯৬৪ সালে একটি সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ওই পরিবারের ১১ শিশুর মধ্যে তিনিও ছিলেন একজন। তাঁর বাবা-মা, একজন শ্রমিক এবং একজন ফেরিওয়ালার কাজ করতেন। আর্থিক অনটনের কারণে ছয় বছরের বেশি তাঁকে স্কুলে পাঠানোর সামর্থ্য ছিল না। অল্প বয়সে পোলিওতে আক্রান্ত হন। স্বাভাবিকভাবেই, নিজের শারীরিক অক্ষমতার কারণে চাকরির চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন তিনি। কিন্তু পেট তো চালাতে হবে। তাই সেই তাগিদেই তিনি রাস্তার পাশের দোকানে স্ন্যাকস বিক্রি করতে শুরু করেন এবং অবশেষে ১৯৮৭ সালে, নিজের প্রথম মুদি দোকান খোলেন ওয়াহ। ওয়াহ ২০১০ সালে ফোর্বসকে বলেছিলেন, আমাকেই নিজেকে সমর্থন করতে হবে। আমার শারীরিক অক্ষমতার কারণে কেউ তো আমাকে নিয়োগ করবে না।
আরও পড়ুন: (Video of IIT Kanpur: লুকিয়ে ক্লাসে ঢোকার চেষ্টা, উঠল হাসির রোল, ভাইরাল আইআইটি কানপুরের ভিডিয়ো)
আর এখন দেখতে গেলে, এই নতুন বিলিয়নিয়ারের রিটেইল চেইন, ৯৯ স্পিড মার্ট, দেশব্যাপী প্রায় ২,৬০০ স্টোর সহ মালয়েশিয়ার বৃহত্তম মিনি-মার্কেট চেইন হয়ে উঠেছে। অ্যালায়েন্স ব্যাঙ্ক মালয়েশিয়া বিএইচডি-তেও তাঁর অংশীদারিত্ব রয়েছে। তিনি বার্গার কিং-এর মালয়েশিয়ান ফ্র্যাঞ্চাইজিতেও বিনিয়োগ করেছেন। জানা গিয়েছে, আইপিওর পর, ওয়াও আগামী তিন বছরে স্টোরের সংখ্যা প্রায় ৩,০০০-এ প্রসারিত করার পরিকল্পনা করেছেন।