বিশ্ববিদ্যালয়ে দুবার ভরতি নিয়ে নানা চর্চা চলছে দেশ জুড়েই। এবার তা নিয়ে মুখ খুললেন ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্টস কমিশনের চেয়ারম্যান জগদীশ কুমার। গোটা বিষয়টি ঠিক কেমন হবে, এটা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে আবশ্য়ক কি না সবটা নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন।
UGC চেয়ারপার্সন জগদীশ কুমার জানিয়েছেন, ‘আমাদের দেশে সাধারণ জুলাই-অগস্ট মাসে সাধারণত ভর্তি করা হয়। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এবার থেকে ভারতের সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় দুবার ভর্তি করতে পারে। একবার জুলাই অগস্টে। একবার জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে। আমাদের পড়ুয়াদের এতে খুব লাভ হবে। যারা জুলাই অগস্টে ভর্তি হতে পারবেন না তাঁরা জানুয়ারি -ফেব্রুয়ারিতে ভর্তি হতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোকে তাঁরা ব্যবহার করতে পারবেন। যে প্লেসমেন্ট হয় সেটা দুবার হতে পারবে। এতে পড়ুয়াদের খুব সুবিধা হবে। এখন তো জুলাই-অগস্টের রেগুলার অ্যাডমিশন শুরু হবে। কিন্তু যে বিশ্ববিদ্যালয় দুবার করে ভর্তির বিষয়টি গ্রহণ করতে চান তাদের হাতে ৬ মাস সময় আছে। তারা জানুয়ারিতে করতে চাইলে করতে পারে। তবে এটা বাধ্য়তামূলক নয়। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পরিকাঠামো আছে , টিচার আছেন, যারা ভালো করে পরিকল্পনা করতে পারবে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ই শুধু করতে পারবে। ’
তিনি আরও বলেন,' এই যে বছরে দুবার করে যে ভর্তি প্রক্রিয়া সেটা আমরা জানুয়ারি ২০২৪ সালে প্রথমবার চালু করেছি। অনলাইন প্রোগ্রামে চালু করেছি। আগের বছর জুলাই মাসে অনলাইন প্রোগ্রামে ২০ লাখ পড়ুয়া অনলাইন প্রোগ্রামে জয়েন করেছিল। এবার ৫ লাখ জয়েন করেছেন। অনেক পড়ুয়ার এতে সুবিধা হবে। সেক্ষেত্রে এবার শুধু আর অনলাইন মোডের শিক্ষা নয়, রেগুলার মোড এডুকেশনেও বছরে দুবার করে এই অ্যাডমিশন হবে। এতে অনেকের উপকার হবে। '
বছরে দুবার করে কলেজ-বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ভর্তি নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে নানা চর্চা। এতে কতটা লাভবান হবেন ছাত্রছাত্রীরা তা নিয়েও নানা কথা উঠছে। তবে এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন বোর্ড পরীক্ষার রেজাল্ট ঘোষণা করতে দেরি হওয়ার কারণে যাঁরা জুলাই-অগস্টে ভরতি হতে পারেননি, স্বাস্থ্যগত কারণে ভরতি হতে পারেননি অথবা ব্যক্তিগত কারণে ওই সময় অ্যাডমিশন নিতে পারেননি, তাঁরা অত্যন্ত লাভবান হবেন। বছরে দু'বার অ্যাডমিশন প্রক্রিয়া চললে প্রতি বছরে দু'বার ক্যাম্পাসিংয়ের। সুযোগ পাবে। তার ফলে স্নাতক উত্তীর্ণদের চাকরির সুযোগ বাড়বে।'