বৃহস্পতিবার এইচসিএল মার্চে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিক এবং সম্পূর্ণ অর্থবর্ষের জন্য তাদের লাভক্ষতির ঘোষণা করে। সেই সময়েই নয়া নিয়োগ পরিকল্পনার বিষয়ে জানানো হয়।
নতুন ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতকদের জন্য সুখবর। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে প্রায় ৪৫ হাজার ফ্রেশার নিয়োগের ঘোষণা করল আইটি সংস্থা HCL টেকনোলজিস। কর্মীর ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্য এই নিয়োগ ড্রাইভ।
৩১ মার্চের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, HCL-এর মোট কর্মী সংখ্যা ২ লক্ষ ৮ হাজার ৮৭৭ জন। গত বছরই মোট ৩৯ হাজার ৯০০ জনকে নিয়োগ করেছে সংস্থাটি। তার মধ্যে ফ্রেশারের সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার। বর্তমানে ১৬৫ দেশের কর্মী HCL-এ কাজ করেন। এর মধ্যে ২৮%-ই মহিলা কর্মী।
হাইব্রিড মডেলে কাজ
মহামারী পরিস্থিতিতে ওয়ার্ক ফ্রম হোম মডেল কার্যকর হয়। আর তার পরেই দেখা যায়, আইটির বেশ কিছু কাজ সহজেই বাড়ি থেকে করা সম্ভব। এমন পরিস্থিতিতে বাড়ি থেকে কাজের সুবিধা জারি রাখার কথা ভাবছে বেশিরভাগ সংস্থা। কর্মীদের নির্দিষ্ট কিছু দিন অফিসে আসতে হবে। বাকি সময়টা বাড়ি থেকেই কাজ। আবার কোনও কোনও সংস্থায় নির্দিষ্ট কিছু কর্মীদের অফিসে আনার কথা ভাবা হচ্ছে। বাকিদের বাড়িতেই কাজ। অর্থাত্ একটা হাইব্রিড মডেলের দিকে ঝুঁকছে সংস্থাগুলি।
সেই একই হাইব্রিড মডেলেই কাজ এগনোর কথা ভাবছে এইচলিএল। নয়া অর্থবর্ষে অফিসে ১২-১৫% কর্মী আনার বিষয়ে ভাবছে সংস্থা।
গত অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে এইচসিএল প্রায় ৩,৫৯৩ কোটি টাকার নেট আয়ের ঘোষণা করেছে।