যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্স,কেমিস্ট্রির মত বিষয়গুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ওই বিষয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর দেখা হবে না। মাধ্যমিকের নম্বরও সেই সঙ্গে যোগ করা হবে। ভর্তির ক্ষেত্রে এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন কমিটি।
করোনার জেরে এবার মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। উচ্চমাধ্যমিকে এ বছর ফিজিক্স কেমিস্ট্রি পরীক্ষা না হওয়ায় ফলাফল প্রকাশের সময় যে বিষয়ে সব থেকে বেশি নম্বর পেয়েছিল ছাত্রছাত্রীরা, সেই নম্বরটি ফিজিক্স, কেমিস্ট্রির নম্বর হিসেবে যোগ করে দেওয়া হয়। ফলে ফিজিক্স কেমিস্ট্রিতে পড়ুয়ারা প্রচুর নম্বর পায়। আর এই কারণেই স্নাতক স্তরে এই বিষয়গুলি তে ভর্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বরকে একমাত্র মাপকাঠি হিসেবে মানতে নারাজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
করোনার কারণে প্রবেশিকা পরীক্ষায় নেওয়া সম্ভব নয়। তাই শিক্ষার্থীদের মানের কথা মাথায় রেখে নয়া নিয়ম জারি করল বিশ্ব বিদ্যালয় অ্যাডমিশন কমিটি। এই নিয়ম অনুসারে ফিজিক্স কেমিস্ট্রি অনার্স নিয়ে যারা ভর্তি হতে চায় তাদের উচ্চ মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর, অংকের নম্বর, মাধ্যমিকের ফিজিক্স বা লাইফ সায়েন্সের নম্বর এবং মাধ্যমিকের মোট প্রাপ্ত নম্বর বিচার করা হবে।
আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ভর্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ১৪ অগাস্ট থেকে অনলাইনে ছাত্রছাত্রীরা ফর্ম তুলতে ও জমা দিতে পারবে।
শুধু ফিজিক্স, কেমিস্ট্রির নয়, কলা বিভাগেরও বেশ কিছু বিষয় যেমন ইকোনমিক্স, ভূগোলের ক্ষেত্রে একই নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন বা জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতিম রায় বলেন, ‘যাদবপুরের তরফে মানের সঙ্গে আপস করা হয় না বলেই অ্যাডমিশন টেস্ট বা প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু এবছর করোনা পরিস্থিতিতে তা নেওয়া সম্ভব নয় বলেই ফিজিক্স, কেমিস্ট্রির মতো বেশ কয়েকটি বিষয়ের ক্ষেত্রেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
তবে দিল্লি বোর্ড থেকে পাস করা ছাত্রছাত্রীদের জন্য অবশ্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বলা হয়েছে, যেহেতু সিবিএসই এবং আইএসসি-তে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি পরীক্ষা হয়েছে এবং সেই পরীক্ষার মূল্যায়ন হয়েছে তাই এই দুই বোর্ডের ক্ষেত্রে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।