যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে ভরতির জন্য আগামী ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া চলবে। সেক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ, তা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
একনজরে দেখে নিন সেই বিষয়গুলি -
১) আবেদনের সময় পড়ুয়ার সম্পূর্ণ রেজাল্ট থাকতে হবে।
২) অসম্পূর্ণ ও ভুল আবেদন বাতিল করে দেওয়া হবে।
৩) বি.এ. অনার্সে অনলাইনে আবেদন জানানোর সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর কোনও প্রার্থীর স্ক্রুটিনি এবং রিভিউয়ে নম্বর বাড়লেও তা গ্রাহ্য করা হবে না। মেধাতালিকায় কোনও রদবদল হবে না।
৪) যদি কোনও পড়ুয়ার বোর্ড পরীক্ষায় নম্বরের পরিবর্তে শুধুমাত্র গ্রেড দেওয়া হয়, তাহলে তা নম্বরে রূপান্তরিত করতে হবে। সেই নম্বর অনলাইন আবেদনপত্রেও দিতে হবে।
৫) অনলাইনে আবেদনের সময় যে নম্বর দিয়েছিলেন প্রার্থীরা, প্রাথমিকভাবে ভরতির পর মার্কশিট ও নথি যাচাইয়ের সময় যদি সেই নম্বরে অসঙ্গতি দেখা যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার ভরতি প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যাবে।
৬) যাবতীয় যোগ্যতামান ও নির্বাচন প্রক্রিয়া শুধুমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ভারতীয় পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে প্রয়োজ্য। যে বিদেশি পড়ুয়ারা ১০+২ পাশ করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ভরতি প্রক্রিয়ার সেই নিয়মগুলি কার্যকর হবে না।
৭) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে পাঁচ বছরের ডুয়াল ডিগ্রি ইন্টিগ্রেটেড কোর্স (১০ টি সেমেস্টার) চালু করা হয়েছে, সেখান থেকে ষষ্ঠ সেমেস্টারের পর কোনও পড়ুয়া বেরিয়ে যেতে পারেন বা কেউ ভরতি হতে পারেন। উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর সেই কোর্সে ভরতি হওয়া যাবে। প্রথম ছ'টি সেমেস্টারে 'চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম' (সিবিসিএস) চালু থাকবে। শেষ চারটি সেমেস্টারে রুসার পাঠ্যক্রম মেনে পঠনপাঠন হবে। ষষ্ঠ সেমেস্টারের পর যাঁরা বেরিয়ে যাবেন, তাঁরা অর্থনীতিতে বি.এ (অনার্স) ডিগ্রি পাবেন। পুরো পাঁচ বছরের কোর্স করলে এম.এ ডিগ্রি দেওয়া হবে।