জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজামিনেশনে সর্বকালীন সর্বনিম্ন কাট-অফ মার্কসের রেকর্ড তৈরি হল ২০২২ সালে। এবছর ৩৬০ নম্বরে মাত্র ৫৫ নম্বর পেয়েই জেনারেল ক্যাটাগোরির এক পড়ুয়া আইআইটি-তে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেতে চলেছেন। গতবছর জেইই অ্যাডভান্সের কাট-অফ মার্কস ছিল ৬৩। শিক্ষামহলের একাংশে মতে, করোনাকালের জন্যই এত নিচে নেমেছে কাট-অফ।
এদিকে এবছর জেইই অ্যাডভান্স পরীক্ষায় মেয়েদের ফল গতবারের তুলনায় ভালো হয়েছে। আগের বছর প্রথম ১০০-তে মাত্র একজন মেয়ে ছিলেন। এবছর সংখ্যাটা সাত। আইআইটি দিল্লি জোনের থেকে এবার সর্বাধিক সংখ্যক পড়ুয়া জেইই অ্যাডভান্সড উত্তীর্ণ হয়েছেন। পরীক্ষায় প্রথম ৫০০-তে দিল্লি জোনের ১৩৩ জন আছেন এবছর। চেন্নাই আইআইটি জোন থেকে প্রথম ৫০০-তে স্থান করে নিয়েছেন ১৩২ জন। প্রথম দশে চেন্নাই জোন থেকে স্থান পেয়েছন ৫ জন। এদিকে বম্বে আইআইটি জোন থেকে প্রথম ১০-এ স্থান পেয়েছেন তিনজন।
বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা আরকে শিশির এবছরের পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। তিনি ৩৬০ নম্বরের মধ্যে ৩১৪ পেয়েছেন। তিনি বম্বে আইআইটি জোনের পরীক্ষার্থী ছিলেন। মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থানাধিকারী তানিষ্ক কাবরা। সর্বভারতীয় ক্রমতালিকায় তিনি অবশ্য ১৬তম স্থানে। তিনি দিল্লি আইআইটি জোনের ছাত্রী। শিশির এবং তনিষ্ক, উভয় পড়ুয়াই কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করবেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে আইআইটি ভুবনেশ্বর জোনে মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন কলকাতার সাউথ পয়েন্ট স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী জাহ্নবী সাউ। ৩৬০ নম্বরের মধ্যে ২২৮ নম্বর পেয়ে তিনি সর্বভারতীয় র্যাঙ্কিংয়ে ২৫৮তম স্থান অর্জন করেছেন। এদিকে হিমাংশু শেখরের র্যাঙ্ক ১৯৩।
এবছর জেইই অ্যাডভান্সড পরীক্ষায় বসেছিলেন মোট ১,৫৫,৫৩৮ পড়ুয়া। এঁদের মধ্যে ৪০,৭১২ জন র্যাঙ্ক পেয়েছেন, যাঁরা দেশের সেরা আইআইটি এবং অন্যান্য শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।