এবার জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজামিনেশন অ্যাডভান্সডে (জেইই-অ্যাডভান্সড) মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন কণিষ্কা মিত্তল। সার্বিকভাবে তাঁর র্যাঙ্ক ১৭।
তিনি জানিয়েছেন, গত দু'বছর কোটায় পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর দাদা বি.টেক করছেন। তাঁকে দেখেই আইআইটিতে ভরতি হতে চেয়েছিলেন কণিষ্কা। তাঁর কথায়, ‘দাদাকে দেখে আমি অনুপ্রেরণা পেয়েছিলাম। আইআইটিয়ান হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কোটায় এসেছিলাম। আমি নিজেকে কখনওই অন্যের সঙ্গে তুলনা করি না। আমার প্রতিযোগিতা ছিল নিজের সঙ্গে। সে কারণেই আমি সর্বদা আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। নিজের উপর বিশ্বাস রেখেছিলাম যে আমি পারব। আমি নিয়মিত হোমওয়ার্ক করতাম। আমি অসংখ্য প্রশ্ন প্র্যাকটিস করেছি। কারণ প্রতিবারই জেইই পেপার নতুন। যে কোনও জায়গা থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। কোটা আসার আগে অঙ্ক শক্ত লাগত। ফিজিক্সে দুর্বল ছিলাম। এখন আমি ফিজিক্সে সবচেয়ে শক্তিশালী। আমি দ্বাদশ শ্রেণিতে ৯৯.৪% এবং দশম শ্রেণি ৯৯% পেয়ে পাস করেছিলাম।’
কিন্তু প্রচলিত তো একটা ধারণা আছে যে আইআইটিতে মেয়েরা তেমন আগ্রহ দেখান না। সে প্রসঙ্গে কণিষ্কা বলেন, 'আমি অঙ্ক পছন্দ করি। তাই আমি আইআইটি জেইইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।' আর সেই লক্ষ্যপূরণের জন্য নিজের সবকিছু উজাড় করে দিয়েছিলেন।
তবে এবার শুধু প্রস্তুতির চ্যালেঞ্জ নয়, মানসিক চ্যালেঞ্জও ছিল। করোনাভাইরাসের জন্য পরীক্ষা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তাতে অবশ্য বিচলতি হয়নি কণিষ্কা। বরং পরীক্ষা পিছিয়ে গেলেও প্রস্তুতিতে কোনওরকম ফাঁক রাখেননি কনিষ্কা। তিনি বলেন, 'জেইই মেইনের পরে অ্যাডভান্সডের প্রস্তুতি নেওয়ার ছিল। লকডাউনের কারণে পরীক্ষাটি পিছিয়ে যায়। আমি এই সময়ের পুরো সুবিধা নিয়েছি এবং প্রতিদিন আট থেকে ১০ ঘন্টা ধরে পড়াশোনা করেছি।' এমনিতে উপন্যাস পড়তে এবং আঁকতে ভালোবাসলেও পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গত দু'বছর সেভাবে বাড়তি সময় পাননি। তাই মাত্র একটি উপন্যাস শেষ করতে পেরেছেন।
কনিষ্কার বাবা অনুজ কুমার মিত্তল একটি ফটোস্ট্যাট দোকান চালান। মা সুচিতা মিত্তল গৃহিণী। কনিষ্কা জানান, কোটায় পড়াশোনার সময় বাবা-মা দু'জনেরই সমর্থন পেয়েছেন। মোরাদাবাদ থেকে তাঁর সঙ্গে নিয়মিত কথা হত।