দেশের সবচেয়ে কঠিন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় পাশ করলেন... more
দেশের সবচেয়ে কঠিন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় পাশ করলেন শাহনাজ লিয়াজ। ৯ মাসের গর্ভবতী অবস্থায় পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনি। পড়ুন ও শেয়ার করুন তাঁর গল্প, কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া বন্ধুর সঙ্গে।
1/10মাতৃত্বকালীন ছুটিতে UPSC পরীক্ষা। আর তাতেই বাজিমাত। দেশের সবচেয়ে কঠিন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় পাশ করলেন শাহনাজ লিয়াজ। ৯ মাসের গর্ভবতী অবস্থায় পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম (Instagram)
2/10শাহনাজ জানান, শুরু থেকেই তাঁর সরকারি চাকরি করার স্বপ্ন ছিল। মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকাকালীন তিনি তামিলনাড়ু পাবলিক সার্ভিস কমিশন (TNPSC)-এর জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম (Instagram)
3/10শাহনাজে এর আগে প্রায় ৫ বছর ধরে আইটি সেক্টরে কাজ করছেন। কলেজের পরেই চাকরি পেয়ে যান। ৫ বছরে বেতনও ভাল জায়গাতেই এসে গিয়েছে। কিন্তু ‘জব স্যাটিসফেকশন' পেতেন না। জীবনের অর্থ, মানুষ হিসাবে সমাজে তাঁর অবদান কী- এই প্রশ্নে রোজ জর্জরিত হতেন। সেই ভাবনা থেকেই সিভিল সার্ভিস নিয়ে ভাবতে শুরু করেন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম (Instagram)
4/10গর্ভবতী মহিলাদের শরীর, মনের উপর দিয়ে যে পরিমাণ স্ট্রেস যায়, তা কারও অজানা নয়। সেই কষ্ট সহ্য করেই তিনি সরকারি পরীক্ষার পড়াশোনা চালিয়ে যান। প্রাথমিকভাবে রাজ্য সিভিল সার্ভিসের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। সেই সময়ে তিনি বুঝতে পারেন যে, আরেকটু চেষ্টা করলে UPSC-র সিলেবাসও কভার হয়ে যাবে। তারপর আরও পড়াশোনা করে কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিসের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। প্রথম প্রচেষ্টাতেই প্রিলিম পাশ করেন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম (Instagram)
5/10বেবি বাম্প নিয়েই প্রতিদিন ৮-১০ ঘণ্টা পড়াশোনা চালিয়ে যান শাহনাজ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম (Instagram)
6/10শাহনাজ জানান, গর্ভবতী হওয়ার কারণে তিনি বাপেরবাড়িতে ছিলেন। সেই অবস্থায় তাঁকে সাহস জোগানো ও সহায়তা করার জন্য মা-বাবাকে ধন্যবাদ দেন তিনি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম (Instagram)
7/10শেহনাজ জানিয়েছেন, তিনি মাসের শুরুতেই পরিকল্পনা করে নিতেন যে কতটা সিলেবাস, কোন কোন বিষয়ে কভার করতে হবে, কোনটা রিভাইস করতে হবে। এবার সেই প্ল্যান মেনে সারা মাস পড়াশোনা করতেন। সেই অনুযায়ী রিভাইসও করতেন। তিনি বলেন, যেকোনও পরীক্ষার জন্যই এই ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করে নেওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম (Instagram)
8/10শাহনাজ বলেন, নিজেকে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। অনেকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করবে, সন্দেহ করবে, কিন্তু সেগুলি পাত্তা দিলে চলবে না। রোজ রাতে আমি কিছুক্ষণ একা একা পায়চারী করতাম। এই সময়টা নিজের সঙ্গেই যেন কথা বলতাম। বলতাম, তুমি পরিকল্পনামাফিক পড়তে থাক। নিশ্চিত সফল হবে। এভাবে ২ বছরের দীর্ঘ যাত্রায় নিজেই নিজের সবচেয়ে বড় বন্ধু হয়ে উঠেছিলা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম (Instagram)
9/10শাহনাজ তাঁর প্রথম প্রচেষ্টাতেই UPSC CSE 2020 ক্র্যাক করেন। সর্বভারতীয় ২১৭তম স্থান অর্জন করেছেন। এরপর তিনি আইপিএস হওয়ার সুযোগ পান। বর্তমানে ট্রেনিং শেষে তামিলনাড়ুতে কর্মরত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম (Instagram)
10/10এমন বড় পরীক্ষার্থীদের কী উপদেশ দেবেন? তিনি জানান, 'লক্ষ্য স্থির করার সঠিক সময়টা বুঝতে হবে। তারপর তা পূরণ করুন। বছরের পর বছর ধরে আইটি সেক্টরে কাজ করার পরেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমি এবার আরও বড় কিছু করতে তৈরি। এমন কোনও কাজ, যা করার মাধ্যমে একটি সামাজিক অবদান রাখতে পারব। এমনিতেই তাঁর হাতে স্থায়ী চাকরি ছিলই। তাই প্ল্যান বি বলে তাঁর কাছে কিছু ছিল না। আর সেই কারণেই প্রথমবারেই সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন হবু মা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম (Instagram)