একসঙ্গে দু'টি স্থানে কাজ করায় সম্মতি নেই ইনফোসিসের। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানাল আইটি জায়ান্ট। বর্তমান মুনলাইটিং বিতর্কের প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য সংস্থার।
মুনলাইটিং নিয়ে ইনফোসিসের সিইও সলিল পারেখ বলেন, যে কর্মীরা গত ১২ মাসে দু'টি সংস্থার হয়ে নির্লজ্জভাবে কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন, তাঁদের সংস্থার সঙ্গে যোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আরও পড়ুন : Wipro কীভাবে মুনলাইটিং করা ৩০০ কর্মীকে ধরল? আছে PF যোগ
তিনি বলেন, 'গিগ ওয়ার্ক'-এর জন্য ইনফোসিসের কর্মীদের জন্য ইতিমধ্যেই একটি নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। সেখানে অফিসের নির্দিষ্ট বেতনের বাইরেও বেশি কাজ করে আয় করতে চাইলে, কর্মীরা তা করতে পারেন। অর্থাত্ অন্য কোনও প্রোজেক্টে সাহায্য করে আরও বেশি আয় করতে পারেন তাঁরা। এই প্ল্যাটফর্মে আবেদনকারী ৪,০০০ কর্মীদের মধ্যে ৬০০ জন বর্তমানে তাঁদের মূল কাজের বাইরেও বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
গত মাসেই, ইনফোসিস এক মেলের মাধ্যমে তার কর্মীদের চুক্তির বাইরে দ্বিতীয় কাজ করার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিল। সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল যে, এই ধরনের কাজ করলে তাঁদের চুক্তির ইতি ঘটবে।
মুনলাইটিং হল, মূল অফিসকে না জানিয়েই বা সম্মতি ছাড়াই দ্বিতীয় কোনও কাজ করা। সেটি সাধারণত অফিসের সময়ের পরেই করা হয়। লকডাউনের সময় থেকে বাড়িতে অনেক বেশি সময় পাওয়ায় অনেক আইটি কর্মী মুনলাইটিং শুরু করেন। সম্প্রতি ভারতীয় আইটি সংস্থাগুলি এই অভ্যাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। তাদের মতে, এতে যে শুধুই কর্মীদের উত্পাদনশীলতার ক্ষতি হবে, তাই নয়। আইটি-র ক্ষেত্রে অনেক ডেটাই অত্যন্ত গোপন হয়। তাছাড়া একই ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে। ফলে এটি স্বার্থগত দ্বন্দ্ব এবং ডেটা লঙ্ঘনের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি করে।
উইপ্রো এবং টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসের মতো অন্যান্য প্রযুক্তি জায়ান্টও এই বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে। উইপ্রো মুনলাইটিং করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন, এমন ৩০০ কর্মীকে চাকরি থেকে বিদায় জানিয়েছে।