CU 50% Seat Vacancy: চার বছরের কোর্স চালু হওয়ার পর বেহাল দশা কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলির। বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অধীনে ১৪০টি কলেজে মোট আসন ২ লক্ষ ২০ হাজার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে মাত্র ১ লক্ষ ৮ হাজার। অর্থাৎ ৫০ শতাংশেরও বেশি আসন ফাঁকা। আর কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে ফার্স্ট সেমিস্টারের পরীক্ষা। তার আগে রেজিস্ট্রেশনের তালিকা মেলাতে গিয়ে হতভম্ব বিশ্ববিদ্য়ালয়ের কর্তারা। মোট আসনের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে অনার্স পড়ুয়ার সংখ্যাও। চার বছরের কোর্সে উৎসাহ পাচ্ছেন না অনেকেই। পুরনো ব্য়বস্থার তিন বছরের বর্তমানে যার আরেক নাম মাল্টিডিসিপ্লিনারি কোর্স, তাতেই বেশি আগ্রহ পড়ুয়াদের।
কেন এত আসন ফাঁকা
তবে এই বিপুল পরিমাণ আসন ফাঁকা থাকার পিছনে রাজ্য় ও কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু পদক্ষেপ দায়ী বলে মনে করছেন শিক্ষামহলের একাংশ। চার বছরের কোর্স চালু করার আগে যথেষ্ট পরিকল্পনা দুই সরকারের ছিল না বলেই মত তাদের। তাড়াহুড়ো করে ২০২৩ সাল থেকে চালু হয়ে যায় চার বছরের অনার্স কোর্স। অন্যদিকে রাজ্য সরকারও সেই মতো আসন সংখ্যা বাড়িয়ে দেয় বিভিন্ন কলেজগুলিতে। ফলে যতগুলি সিট ফাঁকা থাকার কথা,তার থেকে অনেক বেশি ফাঁকা রয়েছে বর্তমানে। পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ পড়ুয়া কম ভর্তি হয়েছে এইবার।
আরও পড়ুন - কর্মীর আকাল রেলে, তবু নতুনদের বদলে অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগেই জোর নানা ডিভিশনে
চার বছরের কোর্সে চাপ বেশি?
কলকাতার একটি উমেনস কলেজের অধ্য়াক্ষা সংবাদমাধ্য়মকে জানিয়েছেন, ছাত্রদের জন্য় উপকারী হলেও চার বছরের কোর্সে নানা ধরনের বিষয় রয়েছে অনার্সের বিষয় ছাড়াও। ল্য়াঙ্গুয়েজ ডেভেলপমেন্ট, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, ইন্টার ডিসিপ্লিনারি সাবজেক্টসহ নানা বিষয়ের চাপেই উৎসাহ হারাচ্ছেন পড়ুয়ারা। অন্য় আরেক অধ্যক্ষের মতে, কোর্সটি চালু করার আগে সঠিকভাবে এর উপকারিতা সম্পর্কে প্রচার করা হলে পড়ুয়ারা উৎসাহ পেত। অনার্স পড়ুয়ার সংখ্য়াও এত কম হত না।
আরও পড়ুন - ভ্যালেনটাইনস ডে সঙ্গীর সঙ্গে একান্তে কাটাতে চান? খোঁজ রইল কলকাতার সেরা ৫ স্পটের
উৎসাহ কমছে বিজ্ঞান শাখায়
অনার্স কোর্সের বদলে জেনারেল কোর্সেই বাড়ছে পড়ুয়ার সংখ্যা। অন্যদিকে উৎসাহ কমছে কেমিস্ট্রি, ফিজিক্স, ম্য়াথসের মতো বিষয়গুলিতে। চলতি বছরে এই শাখাগুলিতে পড়ুয়াদের ভর্তির সংখ্যা অনেকটাই কম। পক্ষান্তরে, আবার শিক্ষামহলের একাংশের বক্তব্য আসনসংখ্যা অপরিকল্পিতভাবে বাড়ানোয় এই সমস্যার উদ্রেক হয়েছে। পরবর্তী বছরে এর সংশোধন করে সামঞ্জস্য় আনা দরকার বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্য়ালয়ের কর্তাদের একাংশ।