ইয়েসম্যাডাম, নয়ডার একটা স্যালন হোম সার্ভিস স্টার্ট আপ। তারা মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে একটা প্রচার চালিয়েছিল। আর সেই প্রচারকে ঘিরেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। আসলে যেটা বলা হয়েছিল যে কোম্পানি একটা সার্ভে করেছিল তারপর তারা অন্তত ১০০জনকে ছাঁটাই করে দেয়।এরপরই এনিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। তবে সংস্থার সিইও মায়াঙ্ক আর্য একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন। সেখানে দাবি করা হচ্ছে একটা ভুলবোঝাবুঝি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অভিপ্রায়টা ভুল ছিল না।
আসলেএকটি রিপোর্ট সামনে এসেছিল সম্প্রতি। সেখানে দেখা গিয়েছিল যে কোম্পানি মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত একটি সার্ভে করার পরে সব মিলিয়ে ১০০ জনকে কাজ থেকে বসিয়ে দেয়।যারা বলেছিলেন কাজের খুব চাপ তাঁদেরই নাকি ছাঁটাই করা হয়। তবে বিষয়টি ঠিক তেমনটা নয়। এরপরই এনিয়ে তীব্র বিতর্ক দানা বাঁধে।
তবে এই বিতর্কের জবাবও দিয়েছেন কোম্পানির সিইও। লিঙ্কেডিনে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে তিনি জানিয়েছেন, লোকজন নানা কথা বলছেন, কি ইয়ে সস্তা পিআর হ্যায়। চপ্পল মারো ইনকো। কিসি নে তো ইয়ে তক কমেন্ট কিয়া হ্যায় ঝাপ্পড় মারো। এরপরই তিনি বলেছেন, এই ধরনের কথাবার্তা একেবারে ভুল। আমার উদ্দেশ্য ভুল ছিল না। ভগবান কৃষ্ণও বলেছিলেন অর্জুনকে যদি তুমি ঠিক হও, তবে এগিয়ে চলো।
সেই সঙ্গেই বলা হয়েছে, আমি অন্তর থেকে ক্ষমা চাইছি। দিল সে।আমি যদি কাউকে আঘাত দিয়ে থাকি। কাউকে বরখাস্ত করা হয়নি। কাউকে ইমেল করা হয়নি। কোনও আতঙ্কের ব্যাপার নেই কোম্পানিতে।সমস্ত কর্মীরা এতে যোগ দিয়েছিলেন।
নেপথ্যের ঘটনাটি ঠিক কী?
আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছিল।যেখানে বলা হয়েছিল ইয়েসম্যাডাম সব মিলিয়ে ১০০জনকে ছাঁটাই করেছে। একটি অভ্যন্তরীন মেন্টাল হেলথ সার্ভে করার পরে এটা করা হয়েছে। এদিকে মনে করা হচ্ছিল কোম্পানি সেই সমস্ত কর্মীদের ছাঁটাই করেছে যারা বলেছিল প্রচন্ড কাজের চাপ। তবে সিইও এই দাবিটা মানতে চাননি।
তবে ইয়েসম্যাডাম আসল ব্যাপারটি জানিয়ে দিয়েছে। আসলে ক্রমক্ষেত্রে কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অর্থাৎ এই ধরনের একটা প্রচার করা হয়েছিল। মূলত স্ট্রেসের জন্য চাকরি গিয়েছে এই ধরনের একটা প্রচার করা হয়েছিল। তবে এটা কেবলমাত্র সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য করা হয়েছিল। সকলের চাকরি অক্ষত রয়েছে। তবে তার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ইয়েসম্যাডামের এই প্রচারকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়।