নিয়মিত ক্লাসে যেতে হবে পড়ুয়াদের। তার ভিত্তিতেও দেওয়া হবে নম্বর। নবম থেকে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পারফরম্যান্স, অর্থাৎ তাদের পরীক্ষা এবং নিত্যদিনের ক্লাসওয়ার্কের উপর নির্ভর করবে, তাদের দ্বাদশ শ্রেণির নম্বর। উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বরের সঙ্গে যুক্ত করা হবে ওই নম্বর। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া এক রিপোর্টে এমনটাই সুপারিশ করেছে ন্যাশনাল এডুকেশন কাউন্সিলের, সামগ্রিক উন্নতির জন্য জ্ঞানের কর্মক্ষমতার মূল্যায়ন, পর্যালোচনা এবং বিশ্লেষণ বিভাগ পারখ (পারফরম্যান্স অ্যাসেসমেন্ট, রিভিউ, অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ফর হলিস্টিক ডেভেলপমেন্ট) যেটি এনসিইআরটি-র সঙ্গে যুক্ত।
উল্লেখ্য, গত বছর ৩২টি স্কুল বোর্ডের সঙ্গে আলোচনার পর, কর্তৃপক্ষ, শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে রিপোর্টটি জমা দিয়েছে। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে শিক্ষার্থীরা যদি নবম, দশম, একাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করে এবং ক্রমাগত ক্লাসে উপস্থিত থাকে, তবে তারা অবশ্যই দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফলে এর বিশেষ সুবিধা পাবে। আর সেই সুবিধাই হবে অতিরিক্ত নম্বর।
আরও পড়ুন: (WBJEE 2024 এর আসন বণ্টনের দ্বিতীয় রাউন্ডের ফলাফল কবে প্রকাশিত হতে চলেছে?)
কী কী পরামর্শ দিয়েছে পারখ
বলা হয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণির চূড়ান্ত নম্বরের সঙ্গে নবম, দশম এবং একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স অনুযায়ী নম্বর অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পড়ুয়াদের পারফম্যান্সের ভিত্তিতে নবম শ্রেণিতে ১৫ শতাংশ নম্বর, দশম শ্রেণিতে ২০ শতাংশ এবং একাদশ শ্রেণিতে ২৫ শতাংশ নম্বর যোগ করা হবে। আর বাকি ৪০ শতাংশ নম্বর বরাদ্দ করা হবে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য।
রিপোর্টে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, শিক্ষার্থীদের এই নম্বর আসবে শ্রেণীকক্ষের কার্যক্রম, গ্রুপ আলোচনা, প্রজেক্ট এবং শেষ পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হবে প্রোগ্রেস কার্ড, গ্রূপে আলোচনা, প্রজেক্টের ভিত্তিতে। বাকি ৩০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হবে পরীক্ষায় রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে।
সূত্রের খবর, পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য এই প্রতিবেদনটি সমস্ত স্কুল বোর্ডের সঙ্গে মতামতের জন্য শেয়ার করা হবে। গত সপ্তাহে হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রথম দফা আলোচনা হয়েছে। এই বৈঠকে রাজ্যগুলি নিজেদের মতামত জানিয়েছে।
এদিন রাজ্যগুলি যুক্তি দিয়েছিল যে নবম, দশম এবং একাদশ শ্রেণির পারফরম্যান্সকে দ্বাদশ শ্রেণির চূড়ান্ত নম্বরের সঙ্গে যোগ করার পরিবর্তে, নবম শ্রেণির স্কোরের ৪০ শতাংশ এবং দশম শ্রেণির স্কোরের ৬০ শতাংশ দশম বোর্ডের চূড়ান্ত স্কোর কার্ডে অন্তর্ভুক্ত করলে বেশি ভালো হবে। একইভাবে, একাদশ শ্রেণির স্কোরের ৪০ শতাংশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির স্কোরের ৬০ শতাংশ দ্বাদশ বোর্ডের চূড়ান্ত ফলাফলে যোগ করা উচিত।