মেডিক্যালে ভরতির জন্য অনুষ্ঠিত নিট পরীক্ষায় ১৫৬৩ জন পীক্ষার্থীকে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরই সঙ্গে সরকার জানিয়ে দিল, এই গ্রেস মার্কস বাতিল করে দেওয়া হবে। সরকার জানিয়েছে, গ্রেস মার্কস পাওয়া ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে দু'টি বিকল্প দেওয়া হবে। তারা ফের পরীক্ষায় বসতে পারেন, অথবা গ্রেস মার্কস ছাড়াই তাদের মার্কস গণনা হবে। পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হলে তা ২৩ জুন অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কাউন্সেলিং বন্ধ করা হবে না। (আরও পড়ুন: ১৮ শতাংশ ডিএ-র 'ভাঁওতা' ধরলেন অবসরপ্রাপ্ত তৃণমূলী সরকারি কর্মী, করলেন বড় দাবি)
আরও পড়ুন: দিতে হবে ২৮ লাখ, সঙ্গে ৯ বছরের জন্য ৮% সুদ, বড় রায় বাংলার সরকারি কর্মীর পক্ষে
২০২৪ সালের সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকার বাতিলের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। মামলাকারীরা অভিযোগ করেন যে এবার নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে। অন্যান্য অনিয়ম হয়েছে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হয় শীর্ষ আদালতের বিচারপতি নাথ এবং বিচারপতি আমানুল্লার অবকাশকালীন বেঞ্চে। এই আবহে নিটের আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির থেকে জবাব চেয়েছিল শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লার অবকাশকালীন বেঞ্চ। গ্রেস মার্কসের বিষয়ে এনটিএয়ের তরফে দাবি করা হয়, দেশজুড়ে ২৪ লাখ নিট প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়। (আরও পড়ুন: রবিবার বিশেষ মেট্রো চলবে কলকাতা নর্থ-সাউথ লাইনে, একনজরে দেখুন সময়সূচি)
আরও পড়ুন: লোকসভায় ঘাটাল সহ ৪ আসনের ফল নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি, CBI তদন্ত চেয়ে আদালতে যাবে BJP
সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা একটি পিটিশনে দাবি করা হয়েছিল যে পটনায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়। আর রাজস্থানের প্রার্থীদের ভুল প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। যদিও ইতিমধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে এনটিএ। সেখানেই অবশ্য বিতর্কে ইতি পড়েনি। এবার ৬৭ জন প্রথম স্থানাধিকারী হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষত হরিয়ানার একটি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ছ'জন প্রথম হওয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে। সেইসঙ্গে গ্রেস মার্কস দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে বহু পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কারণ অনেকেই ৭১৯ বা ৭১৮ নম্বর পেয়েছিলেন। তবে নিট পরীক্ষার মার্কিং নিয়মে তা সম্ভব নয়। আদতে ৭২০ নম্বরের পরে প্রাপ্ত নম্বর ৭১৬ নম্বর বা ৭১৫ নম্বর হতে পারে। যদিও সেই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হওয়ায় গ্রেস নম্বর ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানাল কেন্দ্রীয় সরকার।