ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যর কাছে একটি চিঠি লিখে নিট পিজি ২০২২-এর পরীক্ষা স্থগিত করার জন্য চিঠি লিখেছে৷ চিঠিতে IMA বলেছে যে ২০২১ সালের কাউন্সেলিং এবং পরীক্ষার মধ্যে ব্যবধান খুবই কম। পাঁছ হাজার মেডিকেল ইন্টার্ন এর জেরে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে অযোগ্য নির্ধআরিত হচ্ছেন।
চলতি বছর ১৫,০০০ জনের পড়ুয়া নিট (স্নাতকোত্তর) দেবেন। সেই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিন কোর্টেও গিয়েছেন পড়ুয়ারা। সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও স্মারকলিপি জমা দিয়ে এই পরীক্ষা অন্তত আট থেকে ১০ সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। তবে এরই মধ্যে ন্যাশনাল বোর্ড অফ এগজামিনেশন জানিয়ে দেয় যে সর্বভারতীয় মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে না। আগামী ২১ মে সকাল ন'টা থেকে বেলা ১২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে হবে সর্বভারতীয় মেডিকেল প্রবেশিকা (স্নাতকোত্তর)। ইতিমধ্যেই এই পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডও প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইনের চোখে যৌনকর্মীর না বলার অধিকার থাকলেও বিবাহিত নারীর নেই: দিল্লি HC বিচারপতি
এর আগে এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল ১২ মার্চ। তবে পড়ুয়াদের দাবি মেনে কিছুটা পিছিয়ে সেই পরীক্ষার দিন নির্ধারণ করা হয় ২১ মে। উল্লেখ্য, ক্রমবর্ধমান কোভিড সংক্রমণের কারণে ২০২১ সালে নিট পরীক্ষা দেরিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর এর কারণেই হাজার হাজার এমবিবিএস স্নাতক এই বছরের নিট-পিজি পরীক্ষার জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি। এই আবহে এবছর পরীক্ষা না দিতে পারলে একবছর অপেক্ষা করে ফের আগামী বছর তাদের পরীক্ষায় বসতে হবে। এর জেরে গোটা একটা বছর নষ্ট হত তাদের। তাছাড়া যেসকল এমবিবিএস স্নাতক বর্তমানে তাদের ইন্টার্নশিপ শেষ করছেন তারাও একটি শিক্ষাবর্ষের নষ্টের বিষয়ে চিন্তিত ছিলেন। কারণ তাদের ইন্টার্নশিপ এখনও শেষ হয়নি। এবং ইন্টার্নশিপ শেষ না হলে তারা এই বছর প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য যোগ্য হবেন না। এই কারণেই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছিল।