২০২৪ সালের নিট পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। এবছরের পরীক্ষায় ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭২০ পেয়েছিলেন ৬৭ জন। তাঁদের মধ্যে আবার হরিয়ানার একই সেন্টারের ৬ জন ছিলেন। পরে জানা যায়, গ্রেস মার্কসের কারণে ফুল মার্কস পেয়েছিলেন অনেক নিট পরীক্ষার্থী। উল্লেখ্য, গত ৫ মে অনুষ্ঠিত নিট পরীক্ষা চলাকালীন সময় নষ্ট হওয়ার কারণে দেশ জুড়ে প্রায় ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীদের গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য শীর্ষ আদালতে এনটিএ জানায়, গ্রেস মার্কস বাতিল করা হচ্ছে। বদলে গ্রেস মার্কস পাওয়া ১৫৬৩ জন পড়ুয়াকে নতুন করে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হবে। সেই পরীক্ষায় যারা বসবেন না, তাদের ক্ষেত্রে গ্রেস মার্কস ছাড়া প্রাপ্ত নম্বরই গণ্য করা হবে চূড়ান্ত হিসেবে। এই আবহে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন 'টপার'। আর পুনরায় পরীক্ষা দিয়ে সেই সব 'টপার' কী বলছেন? ফের ৭২০-তে ৭২০ পেতে পারবেন তাঁরা? (আরও পড়ুন: NEET-এ গ্রেস মার্কস পাওয়া ১৫৬৩ জনের মধ্যে ৪৮ শতাংশই ফের দিলেন না পরীক্ষা: NTA)
আরও পড়ুন: ভোট ব্যাঙ্ককে খুশি করার চেষ্টা? সরকারি চাকরিতে OBC সংরক্ষণ বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী
আরও পড়ুন: ২৫ লাখের ফ্রি চিকিৎসা, ৬০০০ ভাতা, ৫০০-তে গ্যাস… বড় প্রতিশ্রুতি বিরোধী দলনেতার
দাবি করা হয়েছিল, পরীক্ষা শুরুতে দেরি হওয়ায় ১৫৬৩ পরীক্ষার্থীকে এবারে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছিল নিট পরীক্ষায়। অভিযোগ ওঠে, এই পরীক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ১৪০ মার্কস পর্যন্ত গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছিল। যার জেরে তাঁরা ৭২০ নম্বরে ৭২০ পেয়েছিলেন। পরে বিতর্কের আবহে সুপ্রিম কোর্টে এনটিএ জানায় সব গ্রেস মার্কস বাতিল করা হচ্ছে। যাদের গ্রেস মার্কস বাতিল করা হয়েছে, তাদের ফের একবার পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে। এই আবহে ২৩ জুন ফের নিট ইউজি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীর জন্যে। তাদের মধ্যে অবশ্য মাত্র ৫২ শতাংশ পরীক্ষার্থী ফের পরীক্ষায় বসেন ২৩ জুন। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন ঝাজ্জারের এক পড়ুয়া। ৭২০ পাওয়া হরিয়ানার একই সেন্টারের ৬ জনের অন্যতম তিনি। তবে রবিবার পুনরায় পরীক্ষা দিয়ে সেই পড়ুয়া দাবি করেন, এবারের পরীক্ষা আগের থেকে কঠিন ছিল এবং কেমিস্ট্রির সব প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে পারেননি। এই আবহে ৭২০-তে ৬৫০ মার্কসের মতো পাওয়ার আশা করছেন তিনি।
এদিকে হরিয়া ঝাজ্জারের আরও এক 'টপার' পুনরায় পরীক্ষা দিয়ে জানান, পরীক্ষা ভালোই হয়েছে। তবে এবার আর হয়ত ৭২০-তে ৭২০ মার্কস তিনি পাবেন না। তিনি বলেন, 'এবারের পরীক্ষা খুব চাপে থেকে দিয়েছি। তাই তা আমার আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলেছে। তবে যদি আমার মার্কস ৭০০-র কাছাকাছি থাকে, তাহলে আমি সন্তুষ্ট থাকব।' এদিকে ঝজ্জারের আরও এক টপার পরীক্ষা দেওয়ার পরে দাবি করেন, রি-টেস্টে পদার্থবিজ্ঞান এবং জীববিজ্ঞানের প্রশ্নগুলি বেশ কঠিন ছিল। এদিকে আগের বার ৭২০ পাওয়া খেরি হোসদরপুর গ্রামের ১৭ বছর বয়সি কিশোর রি-টেস্ট দিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রি সেকশনে কিছুটা সমস্যায় পড়েছিলেন বলে দাবি করেন। প্রয়োজনে আবার প্রস্তুতির জন্য এক বছর বিরতি নেওয়ার কথা ভাবছেন বলেও জানান তিনি।