আবারও পিছিয়ে গেল সর্বভারতীয় অভিন্ন মেডিক্যাল প্রবেশিকা (নিট-স্নাতকোত্তর)। কমপক্ষে চার মাসের জন্য সেই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে যে স্বাস্থ্যকর্মীরা ১০০ দিনের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত ডিউটি পূরণ করবেন, তাঁদের সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্র অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে কেন্দ্রের ।
করোনাভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের জন্য গত মাসের মাঝামাঝি নিট-স্নাতকোত্তর পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেইসময় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেছিলেন, ‘করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে নিট-স্নাতকোত্তর পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় সরকার। যা আগে ১৮ এপ্রিল হওয়ার কথা ছিল। নয়া পরীক্ষার দিনের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মেডিক্যাল পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ কিন্তু তারপরও দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। বরং ক্রমশ বেড়েছে সংক্রমণ। তার জেরে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সেইসঙ্গে করোনা মোকাবিলায় দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপর যেভাবে চাপ পড়ছে, তাতে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র জানিয়েছে, শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে চূড়ান্ত বর্ষের (ফাইনাল ইয়ার) এমবিবিএস পড়ুয়াদের টেলি-কনসালটেশন এবং মৃদু উপসর্গের করোনা রোগীদের পর্যবেক্ষণ কাজে লাগানো যেতে পারে। একইসঙ্গে বি.এসসি বা জেনারেল নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারির কোর্স করা নার্সদের করোনা সংক্রান্ত ডিউটি করতে হবে। তবে তা করতে হবে অভিজ্ঞ চিকিৎসক এবং নার্সদের পর্যবেক্ষণে। শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে করোনা মোকাবিলায় মেডিক্যাল ইন্টার্নরাও যোগ দেবেন।
অন্যদিকে, করোনা মোকাবিলায় সামিল স্বাস্থ্যকর্মীদের উৎসাহ প্রদানের উদ্যোগও দেওয়া নিয়েছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, যে স্বাস্থ্যকর্মীরা ১০০ দিনের কোভিড সংক্রান্ত ডিউটি পূরণ করলে আগামিদিনে সরকারি পরীক্ষায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তাঁদের প্রধানমন্ত্রীর 'কোভিড ন্যাশনাল সার্ভিস সম্মান'-এ ভূষিত করাও হবে বলে জানানো হয়েছে।